একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায় এই সম্প্রীতির ভিডিওটি তুলে ধরা হয়েছে ৷ এবং এই ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া সেরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঘটনা বলে৷ ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সবার হাতে সেহরি ও ইফতার ভোজ তুলে দেওয়া হচ্ছে৷ মন্দির প্রাঙ্গণে এমন ঘটনা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন৷ করোনা মোকাবিলায় জমায়েত বন্ধ৷ লকডাউনে মন্দির-মসজিদ-গির্জার দরজায়ও বন্ধ রয়েছে৷ রমজান মাসে বাড়িতেই নামাজ পড়েছেন অসংখ্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ৷ আর যাঁরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে, তাদের সেখানেই প্রার্থনা করতে হয়েছে৷
advertisement
মন্দিরের আর্শীবাদ ভবনে যে কোয়ারেন্টাই সেন্টার তৈরি হয়েছে তাতে ৫০০টি বেড রয়েছে৷ রমজানের সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রমিকদের ফিরিয়ে এনে এখানেই রাখা হয়৷
মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে আর্শীবাদ ভবনে যারা রয়েছেন, তারা মূলত মুসলিম শ্রমিক৷ রমজান মাসে তারা সকলেই উপবাস করছিলেন৷ তাই তাদের জন্য সেহরি ও ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়৷
পুরো কাটরা শহরে সমস্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার খাবারের ব্যবস্থা করেছে বৈষ্ণদেবী মন্দির বোর্ড৷ করোনার মোকাবিলায় খরচ করা হয়েছে দেড় কোটি টাকা৷
বৈষ্ণদেবীর এই ভিডিওটি রীতিমত ভাইরাল হয়েছে৷ নেটিজেনদের মতে এটাই আসল ভারতের ছবি, যেখানে ধর্ম-জাতির ভেদাভেদ ভুলে দুঃসময় একে অপরের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়৷