সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, যে অগার মেশিন দিয়ে পাথর এবং ধ্বংসস্তূপ কেটে শ্রমিকদের বেরিয়ে আসার জন্য বিকল্প পথ তৈরি করা হচ্ছিল, সেই মেশিন ফের খারাপ হয়েছে৷ শুধু খারাপ হওয়াই নয়, শ্রমিকদের বের করে আনতে যে স্টিলের পাইপ বসানো হচ্ছিল, অগার মেশিনের কিছুটা অংশ তার মধ্যে আটকে রয়েছে৷
পাইপের মধ্যে থেকে এই অগার মেশিন বের করে আনার পরই ফের নতুন করে পাথর কেটে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন উদ্ধারকারীরা৷ এবার আর যন্ত্র নয়, ম্যানুয়াল ড্রিল করেই শেষ ৬ থেকে ৯ মিটার এগনোর চেষ্টা করবেন উদ্ধারকারীরা৷ কিন্তু তার জন্য আগে পাইপে আটকে থাকা অগার মেশিন বের করে আনতে হবে৷ আর তা করতেই বেশ অনেকটা সময় লাগবে৷ তার পরেই নতুন করে পাথর কাটার কাজ শুরু করা যাবে৷
advertisement
আরও পড়ুন: তেজসে সওয়ার মোদি, বেঙ্গালুরুর আকাশ চিড়ে উড়ল যুদ্ধবিমান!
উদ্ধারকারীরা অবশ্য মনে করছেন, সময় লাগলেও ম্যানুয়াল ড্রিল করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে৷ আন্তর্জাতিক সুড়়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স জানিয়ে দিয়েছেন, অগার মেশিনটি যেভাবে ভেঙে গিয়েছে সেটি আর মেরামতও করা যাবে না৷ ফলে এখন ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়েই ভরসা রাখতে হবে৷
এর পাশাপাশি দ্বিতীয় উপায় হিসেবে পাহাড়ের উপর থেকে ড্রিল করে শ্রমিকদের উদ্ধারের পথ তৈরি করার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে৷ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি নিজেও এ দিন উদ্ধারকাজের তদারকি করেন৷ তিনি জানিয়েছেন, হাতে পাথরের ধ্বংসস্তূপ কেটে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য হায়দ্রাবাদ থেকে একটি প্লাজমা কাটার যন্ত্র আনা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, পাইপে আটকে থাকা অগার মেশনটি আগামিকাল সকালের মধ্যেই বের করে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
এই টানাপোড়েনের মধ্যে সুড়ঙ্গের মধ্যে যেন অনন্ত অপেক্ষার প্রহর কাটছে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের৷ গত ১২ নভেম্বর থেকে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে তাঁরা৷ ১৪ দিন ধরে সুড়ঙ্গে বন্দি হয়ে থেকে শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলেও মানসিক ভাবে তাঁদের চাঙ্গা রাখাই এখন সবথেকে বড়ে চ্যালেঞ্জ৷ শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কথাও বলানো হচ্ছে৷ তবে সময় লাগলেও তাড়াহুড়ো না করে নিরাপদে শ্রমিকদের বের করে আনার উপরেই জোর দিচ্ছেন উদ্ধারকারীরা৷