প্রথমবার ৯ দিন ধরে আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবি সামনে এসেছে। ২১ নভেম্বর অভিযানের দশম দিনে শুরু হলে উল্লম্ব ভাবে ড্রিলিংয়ের কাজ। তার মাঝেই দেখা গেল কেমন অবস্থায় আছেন আটকে পড়া শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: ৯ দিন ধরে উত্তরাখণ্ডের টানেলে আটকে শ্রমিকরা! দুর্ঘটনাস্থলে আর্ন্তজাতিক বিশেষজ্ঞ
পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে মোবাইল ফোন ও চার্জার পাঠানো হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, ‘‘প্রথমবারের মতো উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারায় নির্মাণাধীন টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবি পাওয়া গেছে। সকলেই সম্পূর্ণ নিরাপদ, আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছি দ্রুত তাঁদের নিরাপদে বের করে আনতে।’’
advertisement
উদ্ধারকর্মীরা সোমবার সিল্কিয়ারা টানেলের অবরুদ্ধ অংশে ‘ড্রিলিং’ করে ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে ৫৩ মিটার দীর্ঘ ছয় ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন ঢোকাতে সফল হয়েছেন।
এই পাইপের মাধ্যমে গত আট দিন ধরে টানেলে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের অক্সিজেন, হালকা খাবার, শুকনো ফল, ওষুধ এবং জল সরবরাহ করতে চার ইঞ্চি পাইপ ব্যবহার করা হয়েছিল।
গতকালই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে ফোনে এই বিষয়ে কথা বলেন। উদ্ধারকাজ কেমন চলছে সেই বিষয়ে খতিয়ে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করার কাজে উত্তরাখণ্ড সরকারকে সমস্তরকম সরঞ্জাম এবং সম্পদ দিয় সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’’