একটি বিলে বিরোধী বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসের ৯ বিধায়ক। যার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় হরিশ রাওয়াত সরকার। পরিস্থিতির ফায়দা তুলে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে কেন্দ্র। দেশজুড়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ইস্যু গড়ায় । বাতিল করা হয় ওই নয় কংগ্রেস বিধায়কের সদস্যপদ। বিধানসভার অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টেও আবেদন করেন তাঁরা। কিন্তু সেখানেও বাতিল হল কংগ্রেস বিধায়কদের আবেদন। এর ফলে মঙ্গলবার আস্থা ভোটে অংশ নিতে পারবেন বিধানসভার ৬১ জন সদস্য।
advertisement
মোট ৭০ সদস্যের মধ্যে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে বিজেপির ২৮ ও কংগ্রেসের ২৭ জন বিধায়ক রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছে BSP-র দুই, উত্তরাখণ্ড ক্রান্তি দলের এক ও একজন নির্দল বিধায়ক রয়েছে। এছাড়াও রয়েছেন ৯ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক। এর মধ্যে যদি কংগ্রেস বহিরাগত ৬ বিধায়কের ভোট পায়, তাহলে মঙ্গলবারের আস্থাভোটে জিতবে তারা। মঙ্গলবারই হরিশ রাওয়াত সরকারকে সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, সর্বোচ্চ আদালত আরও জানিয়েছে, ভোটের সময়ও যদি বিদ্রোহী বিধায়কদের সদস্যপদ বাতিল থাকে, তাহলে তারা আস্থাভোটে অংশ নিতে পারবেন না। এই অবস্থায় আপাতত বাকি ৬ বিধায়কের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে কংগ্রেস।