বিয়ের আগে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা রাজি থাকলেও, বিয়ের পরে বেঁকে বসেছে তারা৷ অন্তত এমনই দাবী সদ্য বিবাহিত স্ত্রী-এর৷ পুলিশের কাছে .তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্বামী ঠিক করেছিলেন যে বিয়ের পরও পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন৷ শ্বশুরবাড়ির সবাই তখন সেই সিদ্ধান্তে রাজিও হন৷ কিন্তু বিয়ের পরই সব হিসাব পাল্টে যায়৷
আরও পড়ুন : জঙ্গল ছেড়ে রাস্তায় গন্ডার, তাড়া করে পিষে মারল একজনকে! দেখুন সেই ভিডিয়ো
advertisement
আগ্রার ট্রান্স যমুনা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীর আট মাস আগে সাদাবাদে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের আগে শর্ত ছিল বিয়ের পরও মেয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাবে। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রবল ঝগড়া শুরু হয়৷ ঝগড়ার কারণ সেটাই, যেটা তাঁর বর তাঁকে দিতে রাজি হয়েছিল৷ স্ত্রী-এর অভিযোগ, তিনি বিটিসি করেছেন এবং আরও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান৷ কিন্তু স্বামী এখন তাঁকে কোনও সাহায্য করছেন না৷ শুধু তাই নয়, তাঁর পড়াশোনাও বন্ধ করে দিতে চাইছেন৷
অশান্তি চরমে পৌঁছলে, মেয়েটির স্বামী তাঁকে বাপের বাড়িতে গিয়ে রেখে আসেন৷ এরপর পরিবারের কাছে গোটা ঘটনার কথা বলেন মেয়েটি৷ পরিবারের সদস্যদের থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। পুলিশ মামলাটি আপাতত দেখছে। তারা স্বামী-স্ত্রীকে কাউন্সিলরের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেন৷
আরও পড়ুন : প্রবল গতিতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, ভয়ঙ্কর বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৯, আহত একাধিক
কাউন্সেলিং সেন্টারের কাউন্সেলর ডাঃ অমিত গৌড়ের কাছে বিষয়টা পৌঁছালে তিনি স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ফোন করেন। স্বামীর অভিযোগ, তিনি চান না তার স্ত্রী বেশি লেখাপড়া করে চাকরি করুক। ঘরে টাকা পয়সার অভাব নেই, তবু বউ পড়ালেখার জন্য জোরাজুরি করছে। স্বামীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রী। জানিয়েছেন, বিয়ের আগে তাকে পড়াশোনার শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তখন সবাই রাজি হয়ে যায়। এখন তাঁকে বিয়ের আর পড়াশোনা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বর্তমানে কাউন্সেলররা দুজনকেই বোঝানোর চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। এখন কাউন্সেলররা দুজনকেই পরবর্তী তারিখ দিয়েছেন। দেখা যাক জল এবার কতদূর গড়ায়।