আরও পড়ুন : ৭৮ বছরে কেউ সরকারি চাকরি পাননি, ক্লাস টেন পাস দু’জন, জানুন এই গ্রামের কাহিনী
বন দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ণ বয়স্ক বাঘটি গ্রামবাসীদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের হয়ে উঠছিল৷ জানা গিয়েছে, গত দুই মাসে এই বাঘের শিকার হয়েছেন প্রায় দশ জন৷ তবে বাঘ এতই ধূর্ত যে তাকে কিছুতেই জালে আটকানো যাচ্ছিল না৷ ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার মনীশ সিং জানিয়েছেন, বাঘটি কানে একেবারেই শুনতে পাচ্ছিল না৷ এটি চোখের সামনে যা দেখত তার উপর আক্রমণ করত৷ হাজারো শব্দ, বাজি ফাটানো, বা কাসর বাজানোর আওয়ার তার কানে পৌঁচাচ্ছিলই না৷
advertisement
আরও পড়ুন : দোকানের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর প্রাণী! সকালে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতেই আতঙ্ক
তবে প্রশ্ন হল, বাঘের কানের অবস্থা এমন হল কী করে? এই ক্ষেত্রে ওই বনবিভাগের কর্তা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে বাঘ ধরতে জঙ্গলে প্রচুর শব্দের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ তার সঙ্গে ছিল গাড়ির হর্ণও৷ শুধু বাঘকে ভয় পাওয়ানোই নয়, উদ্দেশ্য ছিল অন্য জন্তুগুলিকে দূরে সরিয়ে দেওয়া৷ মনীশের ধারণা, এত শব্দের জন্যই বাঘটি কানে শোনার ক্ষমতা হারিয়ে বসেছিল৷ তবে এর বাইরে এটির শরীরে আরও কোনও সমস্যা নেই৷ তাঁর কথায়, “আমরা এতদিন অনেক বাঘকে ধরেছি৷ তবে কানে শুনতে না পাওয়া বাঘ এই প্রথম আমাদের খাঁচায় ধরা পড়ল৷” কানে শুনতে না পাওয়া বাঘটির আরও বেশ কিছু মেডিক্যাল টেস্ট হবে৷ পরিস্থিতি বুঝে সেটিকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হবে৷
এরই মধ্যে খবর, আরও একটি বাঘ না কি পিলভিটে এক গ্রামবাসীকে আক্রমণ করেছে৷ ঘটনায় গুরুতর আহত ওই সদস্য৷ বাঘটিকে এখনও ধরা যায়নি৷ সেটি না গ্রামেই এক জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে৷ প্রবল আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসী৷