আগামী মাসে উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh Election | Congress) ভোট। কংগ্রেসের বক্তব্য, ধর্মীয় মেরুকরণ, জাতপাত নয়, লড়াই হোক উন্নয়ন ইস্যুতে, কর্মসংস্থানের ইস্যুতে। ‘ভর্তি বিধান’ (Congress Manifesto) নাম দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারের। কংগ্রেসের দাবি, উত্তর প্রদেশের যুব সমাজের যাবতীয় সমস্যার সমাধান আছে এই ভর্তি বিধানে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বলেন, গত ৫ বছরে ১৬ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অথচ প্রতিশ্রুতি ছিল প্রতি বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থানের। কংগ্রেস দাবি করছে, ইস্তেহার তৈরির জন্য উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh Election | Congress) বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে তারা। ওই রাজ্যে কর্মসংস্থানই বড় সমস্যা। তাই কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে যুবদের কর্মসংস্থানেই গুরুত্ব দেবে।
advertisement
ইস্তাহারে (Congress Manifesto) বলা হয়েছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রতিযোগিতামূক পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনওরকম ফি নেওয়া হবে না। বরং বাস-ট্রেনে পরীক্ষার্থীদের কোনও ভাড়াও দিতে হবে না। তৈরি হবে জব ক্যালেন্ডার। কী ভাবে রোজগারের পথ সৃষ্টি হবে, সেটা দেখাতে চায় কংগ্রেস। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে ইস্তেহারে(Congress)।
আরও পড়ুন : নির্বিঘ্নে পুরভোট করতে তৎপর কমিশন! রাজ্য পুলিশকে দেওয়া হল ১৪ দফা নির্দেশ...
প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বলেন কংগ্রেস সরকারে এলে উত্তর প্রদেশে দেড় লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষকের খালি থাকা পদে নিয়োগ করবে। যুবদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। উত্তর প্রদেশে ৩৮ হাজার মাধ্যমিক শিক্ষক এবং ৮ হাজার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের পদ খালি। চিকিৎসক, পুলিশ থেকে অঙ্গনওয়াড়ি, আশা কর্মীদের খালি পদে নিয়োগ হবে। সংস্কৃত, উর্দু শিক্ষক পদেও হবে নিয়োগ। ক্ষমতায় এলে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ না হওয়া এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা দূরীকরণে নজর দেবে কংগ্রেস। সরকার গঠনে ভোট পরবর্তী জোট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, যদি ভোটের পরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তাদের দলের নীতির সঙ্গে যাদের মিলবে সেই সব দলকে সমর্থন করবে কংগ্রেস।