তারপর স্থানীয় এক মহিলাকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন গোয়ায়। আর এর কারণ হল, আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির জেরে তাঁর জীবনের গুণমান যেন খোওয়া যেতে বসেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এলিয়ট বলেন যে, বর্তমানে আরামেই ভারতে জীবনযাপন করছেন তিনি। আর তাঁর মাসিক খরচ ১ লক্ষ টাকারও কম।
আরও পড়ুন: চন্দ্র-মঙ্গলের মিলনে মহালক্ষ্মী রাজযোগ! উন্নতির শিখরে ৩ রাশি, হঠাত্ হাতে আসবে প্রচুর টাকা
advertisement
নিজের লিঙ্কডইন পোস্টে এলিয়ট লিখেছেন যে, “১২ বছর আগে আমি এক বিরল আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম। আর এটা আমার অর্থনৈতিক জীবনই বদলে দিয়েছে চিরতরে। বেশিরভাগ ফিনান্স গুরু আপনাকে নিজের খরচের বাজেট বানাতে বলবেন। এর পাশাপাশি বিনিয়োগ করার এবং দীর্ঘমেয়াদে তা ধরে রাখার পরামর্শও দেবেন। আয়ের একাধিক উৎস তৈরি করতে বলবেন। তারপরেই আপনি (F)inancial (I)ndependence (R)etire (E)arly অর্জন করতে পারবেন।”
বিষয়টির ব্যাখ্যা করে তিনি আরও বলেন যে, এই পরামর্শ মেনে চলতে গিয়ে আমেরিকায় থাকাকালীন তিনি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেই সময় নিজের দেশে জীবনযাপনের খরচ খুবই বেশি বলে মনে হয়েছিল। এলিয়টের কথায়, “মুদ্রাস্ফীতি খারাপ। কিন্তু জীবনযাত্রার অবস্থা আরও খারাপ।” নিজের পোস্টে এলিয়ট সামাজিক চাপের কথাটাও তুলে ধরেছেন। তাঁর বক্তব্য, বন্ধুত্ব বজায় রাখার জন্য ফ্যান্সি রেস্তোরাঁ, কনসার্ট এবং শপিং ট্রিপ ইত্যাদিতে খরচ করারও একটা সামাজিক চাপ থেকে। আর এই কারণের জেরেই মার্কিন মুলুক থেকে বাইরে বেরিয়ে কোথাও থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথমে অবশ্য ব্রাজিল কিংবা অন্যান্য দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে গিয়েছিলেন। যদিও পরে ভারতে থিতু হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এলিয়ট লিখেছেন, “অবশেষে আমি ভারতে এসে পৌঁছলাম। যেখানে আমি প্রায় ৯ বছর ধরে থাকছি। আমার স্ত্রী-র সঙ্গেও আলাপ এখানেই। ওঁর পরিবারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে আমার। এখানে এসে আমি হিন্দি শিখেছি। আর ২টি ব্যবসাও শুরু করেছি।”
এরপর অবশ্য, তিনি কোথায় থাকেন এবং তাঁর মাসিক খরচ কত, সেটাও ভেঙে দেখিয়েছেন এলিয়ট। তিনি বলেন চলেন, “ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ভয় ত্যাগ করেই আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়। বিদেশে থাকার কিছু খারাপ দিক আছে, কিন্তু আমি এখানে পুরোপুরি মানিয়ে নিয়েছি এবং খুশিও।”
যদিও এলিয়ট মার্কিন নাগরিকই রয়েছেন এখনও।
তাঁর কথায়, “আমি আনন্দের সঙ্গে জানাই যে, আমি এখনও মার্কিন নাগরিকই আছি। বছরে এক বার করে আমেরিকায় যাই। আমি আমেরিকাকে ভালবাসি। তবে নিজের পাসপোর্ট সমর্পণ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু প্রত্যেক বার যখন যাই, তখন দেখি, আমার বন্ধুরা আয় করছে আর তার থেকেও বেশি খরচ করছে। আর তাঁদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য কোনও চাপের মুখে নিজেকে ফেলতে চাই না।”