উরি হামলায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত এক জওয়ানের মৃত্যু হল শুক্রবার সকালে ৷ গত ১৮ সেপ্টেম্বর উরি সেনা ছাউনিতে জঙ্গি উরি হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন ওই সেনা জওয়ান ৷ নয়াদিল্লির আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল হাসপাতালে গত ১২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে অবশেষে হার মানলেন ওই জওয়ান ৷
উরি হামলায় মৃত জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ ৷ গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ভোর ৫:২০ নাগাদ সেনা ক্যাম্পে ঢুকে হামলা চালায় তিন চারজনের একটি জঙ্গি দল ৷ রবিবার জম্মু কাশ্মীরের উরি সেক্টরের সেনা ছাউনিতে ভয়াবহ হামলা চালায় জঙ্গিরা ৷ কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই সীমান্ত পেরিয়ে আশা পাক জঙ্গিরা ঘুমন্ত জওয়ানদের টেন্টের দিকে গ্রেনেড ছুঁড়তে থাকে ৷ গ্রেনেড বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় সেনা তাঁবুতে ৷
advertisement
আগুনের হাত থেকে বাঁচতে তাঁবু থেকে বেরোতেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা ৷ তাৎক্ষণিক চমক কাটিয়ে জঙ্গিদের মোকাবিলা করে ভারতীয় সেনা ৷ দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার লড়াইয়ের পর চার জঙ্গিকে খতম করতে সফল হয় সেনা ৷ হামলায় সেই দিন শহীদ হন ১৭ জন জওয়ান ৷ পরেরদিন সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন আরও এক জওয়ানের ৷ এদিনও আরও এক আহত জওয়ানের মৃত্যুর সঙ্গে শহীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ ৷ এর মধ্যে দু’জন ছিলেন এ রাজ্যের বাসিন্দা ৷
উরি হামলার পরিবর্তে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ৷ সন্ত্রাস নিয়ে একাধিকবার প্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পাকিস্তান ৷ সীমান্ত পেরিয়ে বারবার জঙ্গি অনুপ্রবেশের প্রতিরোধ নিজের হাতেই তুলে নেয় ভারতীয় সেনা ৷ নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক ভূমিতে ঢুকে বৃহস্পতি রাতভর অভিযান চালায় সেনা ৷ ভিমবের, হটস্প্রিং সেল এবং লিপা সেক্টরে হামলা চালিয়ে সাতটি পাক জঙ্গি ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয় জওয়ানরা ৷ নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ৫০০ মিটার থেকে ২কিমি পর্যন্ত অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে নিকেশ বহু জঙ্গি ৷