অবাক করা তথ্য হচ্ছে এখানে অভিযোগকারী এবং অভুযুক্ত দু’জনেই পুলিশকর্মী। দুই ব্যক্তিই উত্তর প্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম কেশব শর্মা। সে ওই রাজ্যের পুলিশ কনস্টেবল পদে নিযুক্ত ছিল। অন্যদিকে অভিকারী মহিলাও ওই একই পদে কর্মরতা। ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্ত কেশবকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবীণ পুলিশ কর্তা সুধীর কুমার।
advertisement
অভিযোগকারীর বয়ান অনুসারে, কেশব শর্মার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিন ধরে আলাপ ছিল। চাকরি সূত্রে হওয়া সেই পরিচয় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অন্য রূপ নেয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, অভিযোগকারী মহিলা ছিলেন বিবাহিতা। ২০০৯ সালে তাঁর বিয়ে হয়। কেশবের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে শুরু হয় সংসারে অশান্তি।
এরপরে প্রমিক কেশবের পরামর্শে সেই দাম্পত্য থেকে বেরিয়ে আসেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। আইন মেনেই বচ্ছেদ ঘটান দাম্পত্যে। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরে খুব স্বাভাবিকভাবেই কেশবের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। তাঁর অভিযোগ, কেশবের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন। পরে কেশবের চাপেই গর্ভপাত করাতে হয়।
স্থানীয় পুলিশ সুপার অলোক শর্মা জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত কেশবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩১৩ এবং ৫০৬ মামলা রুজু হয়েছে। পাশপাশি কনস্টেবল কেশব শর্মাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে, খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এসপি।
অন্যদিকে, কনস্টেবল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ সক্রিয়তা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা মহিলা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি কেশব। বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।