বৃহস্পতিবার ইটাওয়া রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে জলি হোটেলে চেক ইন করেন মোহিত। পর দিন সকালে তিনি তাঁর ঘর থেকে বার হননি। বাধ্য হয়ে পুলিশে খবর দেন হোটেলকর্মীরা৷ এর পর দরজা ভেঙে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়৷ জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (শহর) অভয়নাথ ত্রিপাঠি। তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, আউরাইয়া জেলার বাসিন্দা মোহিত একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। ২০২৩ সালে বিয়ের আগে তিনি এবং প্রিয়া সাত বছর প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন।
advertisement
তাঁর শেষ ভিডিওতে মোহিত অভিযোগ করেছেন যে, দু’ মাস আগে প্রিয়া যখন বিহারে একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান, তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন, কিন্তু তাঁর মা তাঁকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন। তাঁর শাশুড়ি প্রিয়ার সমস্ত গয়নাও নিজের কাছে রেখেছিলেন, তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, যখন তাঁরা বিয়ে করেন তখন তাঁদের পরিবারের তরফে কোনও যৌতুক দাবি করা হয়নি৷ কিন্তু অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সকল সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার হুমকি দেন।
“আমার স্ত্রী আমাকে হুমকি দিয়েছিল যে যদি আমি আমার বাড়ি এবং সম্পত্তি তার নামে নথিভুক্ত না করি, তাহলে সে আমার পরিবারকে যৌতুকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে। তার বাবা মনোজ কুমার একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এবং তার ভাই আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন,” ভিডিওতে তিনি বলেন। তারপর থেকে, তিনি দাবি করেন যে তাঁর স্ত্রী প্রতিদিন দাম্পত্য বিবাদ শুরু করে৷ এর পিছনে প্রিয়ার পরিবারেরও ইন্ধন ছিল বলে মোহিতের অভিযোগ৷
ভিডিওটির শেষে যাদব তাঁর বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং মৃত্যুর পরেও যদি তিনি ন্যায়বিচার না পান তবে তাঁর ছাই নর্দমায় ফেলে দেওয়ার জন্য তাঁদের অনুরোধ করেছেন। তিনি মহিলাদের দ্বারা দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগ থেকে পুরুষদের রক্ষা করার জন্য কোনও আইনের অনুপস্থিতির কথাও তুলে ধরেছেন। “এই ভিডিওটি যখন আপনি পাবেন, তখন আমি এই পৃথিবী থেকে চলে যাব। পুরুষদের জন্য আইন থাকলে আমি এই পদক্ষেপ নিতাম না। আমি আমার স্ত্রী এবং তার পরিবারের করা হয়রানি সহ্য করতে পারলাম না,” ভিডিওতে ভেসে আসে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী মোহিতের আর্তি।
শুক্রবার সকালে নিজেদের ফোনে তাঁর ভিডিও পেয়ে হতবাক হয়ে যায় মোহিতের পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রিয়া যাদব এবং তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি এখনও। এই ঘটনাটি নারীদের মিথ্যা অভিযোগ থেকে পুরুষদের রক্ষা করার জন্য নতুন আইন প্রণয়নের ক্রমবর্ধমান দাবিকে আরও জোরালো করে তোলে। গত বছর বেঙ্গালুরুতে আর এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অতুল সুভাষের আত্মহত্যার পর থেকে একই ধরনের ঘটনা পুরুষ অধিকার কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
If you or someone you know needs help, call any of these helplines: Aasra (Mumbai) 022-27546669, Sneha (Chennai) 044-24640050, Sumaitri (Delhi) 011-23389090, Cooj (Goa) 0832- 2252525, Jeevan (Jamshedpur) 065-76453841, Pratheeksha (Kochi) 048-42448830, Maithri (Kochi) 0484-2540530, Roshni (Hyderabad) 040-66202000, Lifeline 033-64643267 (Kolkata)