ব্রহ্মচর্যকে আপন করে নেওয়া তরুণের গলায় ছিল রাজা ভর্তৃহরিকে নিয়ে গান৷ কথিত, এই রাজাও তাঁর রাজ্য ছেড়ে দিয়েছিলেন সাধু হওয়ার জন্য৷ নিখোঁজ সন্তানকে ২২ বছর পর আবার সাধুবেশে দেখে কেঁদে ফেলেন তাঁর মা৷ জানা গিয়েছে ২২ বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যায় ১১ বছরের পিঙ্কু৷ পড়াশোনা না করে দিনরাত গুলি খেলার জন্য বাবা রতিপাল এবং মা ভানুমতী তাকে তিরস্কার করেছিলেন৷ তার জেরেই অমেঠীর খরৌলি গ্রামের বাড়ি ছেড়ে চলে যায় অভিমানী বালক৷
advertisement
এর পর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল৷ গত সপ্তাহে খরৌলি গ্রামে এক সাধু আসেন৷ শেষ পর্যন্ত জানা যায় এই সাধু আর কেউ নন, গ্রামেরই ছেলে পিঙ্কু৷ ২২ বছর পর ফিরেছেন নিজের শিকড়ে৷ তড়িঘড়ি খবর যায় বর্তমানে দিল্লিবাসী দম্পতি রতিপাল এবং ভানুমতীর কাছে৷ ছেলেকে দেখতে ছুটে আসেন তাঁরা৷ সন্তানের দেহে একটি পুরনো ক্ষতচিহ্ন দেখে চিনতে পারেন ভানুমতী৷ সন্ন্যাস গ্রহণ করা সন্তানকে ভিক্ষাও দেন মা৷ কিন্তু এই সাক্ষাৎ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি৷ মায়ের কাছে ভিক্ষা নিয়ে আরও একবার গ্রাম ছেড়ে চলে যান সন্তান৷ পরিবার, পরিজন থেকে শুরু করে গ্রামবাসী-কারওর কথাতেই আটকে রাখা যায়নি তাঁকে৷