সাক্ষাতের আগে নির্যাতিতা জানান, ন্যায়বিচারের দাবিতে তিনি নরেন্দ্র মোদি, দ্রৌপদী মুর্মু এবং অমিত শাহ—সবার সঙ্গেই দেখা করতে চান। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, “আমরা শুধু তাঁদের সঙ্গে দেখা করে আমাদের যন্ত্রণা জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করতে চাই। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
এর আগে বুধবার সকালে নয়াদিল্লিতে দিল্লি হাই কোর্টের রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে আটকান এবং বৃদ্ধাকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা ও তাঁর মা ইন্ডিয়া গেটে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন। মঙ্গলবার তাঁদের, সমাজকর্মী যোগিতা ভায়ানার সঙ্গে, আটকও করা হয়েছিল।
বুধবার তাঁরা মণ্ডি হাউসে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলার পরিকল্পনা করেছিলেন। অভিযোগ, সিআরপিএফ-এস্কর্ট করা বাসটি নির্ধারিত স্থানে থামেনি। নিরাপত্তারক্ষীরা নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে বাধা দেন এবং চলন্ত বাস থেকে বৃদ্ধা মাকে নামতে বাধ্য করা হয়। বাসে নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে বহন করা হলেও সেখানে কোনও মহিলা সিআরপিএফ কর্মী উপস্থিত ছিলেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার নিন্দা করে রাহুল গান্ধী বলেন, “একজন গণধর্ষণের নির্যাতিতার সঙ্গে এমন আচরণ কি গ্রহণযোগ্য? ন্যায়বিচারের জন্য আওয়াজ তোলাই কি তাঁর ‘অপরাধ’?”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্ট কুলদীপ সিং সেনগরের কারাদণ্ড স্থগিত করে। আদালত জানায়, তিনি ইতিমধ্যেই সাত বছর পাঁচ মাস কারাবাস করেছেন। ২০১৭ সালের উন্নাও ধর্ষণ মামলায় তিনি বর্তমানে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন।
