নয়াদিল্লি: উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা স্থগিত করল দিল্লি হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত ১৫ লক্ষ টাকার বন্ডে তার জামিনও মঞ্জুর করা হয়েছে। দিল্লি হাই কোর্টে বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ ও বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথন শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চ, কুলদীপ সিং সেঙ্গারের সাজা স্থগিত এবং জামিনের নির্দেশ দিয়েছেন। আর এই নির্দেশের পরই দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উন্নাও কাণ্ডের নির্যাতিতা ও তাঁর মা। তারপর তাঁদের জোর করে ওই এলাকা থেকে তুলে দেয় পুলিশ।
advertisement
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ জানাতে ইন্ডিয়া গেটের লনে বিক্ষোভে বসেছিলেন নির্যাতিতা ও তাঁর মা। সেই সময় পুলিশ তাঁদের জোর করে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। ঘটনার পর ভেঙে পড়ে নির্যাতিতা বলেন, ‘আমি তখনই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পরিবারের কথা ভেবে থেমে যাই।’ এখানেই না থেমে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আমাদের এবার মেরেও ফেলা হতে পারে।‘
যদিও ১৫ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করলেও কুলদীপ সিং সেঙ্গারের উপর কড়া শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তাঁকে দিল্লিতে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং নির্যাতিতার বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বেঞ্চ আরও নির্দেশ দিয়েছে, সেঙ্গার-কে তার পাসপোর্ট জমা দিতে হবে, প্রতি সপ্তাহে স্থানীয় থানায় হাজিরা করতে হবে এবং সেই সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে কোনও ভাবে ভয় দেখানো যাবে না।
কুলদীপ সেঙ্গার ২০১৭ সালের ৪ জুন ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণে মূল অভিযুক্ত। সেই সময় তিনি বিজেপির বিধায়ক থাকলেও পরে তাঁকে বহিষ্কার করে দল। ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও POCSO আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পান কুলদীপ সেঙ্গার।
এর পরে ২০২০ সালের মার্চ মাসে, নির্যাতিতার বাবার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যার জন্য কুলদীপকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং মোট ৩৫ লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার জামিন পাচ্ছেন কুলদীপ সেঙ্গার।
