ছেলের বয়স ২০। সেই ছেলে যাকে ভালবাসে তার বয়স ১৬। দুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। আর তার পরই মেয়ের বাড়ির লোকজন ছেলেটির বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগে মামলা করে। তবে POCSO আদালত শেষ পর্যন্ত সেই ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছে। মুম্বাইয়ের এক ছাত্রকে জামিন দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন- সুখের তালিকায় ১৩৬ নম্বরে ভারত! "ঘৃণার তালিকার শীর্ষে থাকবে দেশ", কটাক্ষ রাহুলের
advertisement
অভিযুক্ত ছেলেটি ৩০ দিন জেলে কাটিয়েছে। POCSO আদালত তাঁকে জামিন দেওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়েছে ছেলেটির বাড়ির লোকজন। "প্রেমের সম্পর্কে সম্মতি নেই মেয়েটির পরিবারের, শুধুমাত্র সেই জন্য এত কমবয়সী অভিযুক্তকে জেলে রাখা ঠিক নয়। এতে তাঁর ভবিষ্যতে প্রভাব পড়তে পারে। পেশাদার অপরাধীদের সঙ্গে তাঁকে কারাগারে রাখার দরকার নেই। এমনকি তার কোনো অপরাধমূলক ব্যাকগ্রাউন্ডও নেই। শুধুমাত্র ভালবেসেছে বলে জেল খাটবে একটা ছেলে!" জানিয়েছে আদালত।
একই রকম একটি মামলায়, বোম্বে হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছিল, যৌন ইচ্ছা ব্যক্তিভেদে আলাদা। কিশোর-কিশোরীদের যৌন আচরণের ধরণগুলির জন্য কোনও গাণিতিক সূত্র থাকতে পারে না। কারণ জৈবিকভাবে শিশুরা যখন বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছয়, তখন তারা তাদের যৌন চাহিদা বুঝতে শুরু করে। এখনকার শিশুরা যৌনতা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশি সচেতন। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে তাদের কাছে যৌন সম্পর্ক সম্পর্কে জানার জন্য প্রচুর উপাদান রয়েছে।
বম্বে হাইকোর্ট এর আগে রায়ে বলেছিল, "এমন বয়সে (বয়ঃসন্ধিকালীন) মেয়ে এবং ছেলে উভয়ই উত্সাহিত হতে পারে এবং তাদের এই ধরনের সম্পর্কের (অল্প বয়সে যৌনতা) প্রতি আকর্ষণ থাকতে পারে। এটি একটি কৌতূহলী এবং খুব আকর্ষণীয় চাহিদা।" হাইকোর্ট আরও বলেছিল, যখন একটি ছেলে এবং একটি নাবালিকা প্রেমে পড়ে এবং তাদের পিতামাতার সম্মতি ছাড়াই একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন এই ধরনের আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
আরও পড়ুন- বাবা ও দাদার হাতে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ! ১১ বছরের নাবালিকাকে ছাড়েনি দাদু-কাকাও !
পকসো আদালতে মামলায় মেয়েটির পক্ষ ছেলেটির জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। কারণ তাদের মেয়ে বাড়ি ছেড়ে তাকে বিয়ে করতে চাইলেও বাবা-মা বা অভিভাবকের সম্মতি ছিল না। মেয়েটি নাবালিকা। ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়েটি তার মাকে ফোন করে জানায়, সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। পরদিন তার মা পুলিশের কাছে যান। ওই তরুণী ও যুবককে থানায় ডেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
