TRENDING:

প্লাস্টিক মুদ্রার পর এবার গুরমিত রাম রহিমের ডেরার তল্লাশিতে যা সামনে এল তা ভয়াবহ!

Last Updated:

প্লাস্টিক মুদ্রার পর এবার গুরমিত রাম রহিমের ডেরার তল্লাশিতে যা সামনে এল তা ভয়াবহ!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#রোহতক: আদালতের রায়ের পর এখন শ্রীঘরই বাবার নয়া ডেরা। স্বঘোষিত ধর্মগুরু। ভক্তদের প্রিয় বাবা। বিশেষ সিবিআই আদালতের রায়ে ডেরা ছাড়া হয়েছেন গুরমিত রাম রহিম। আপাতত 2037 সাল পর্যন্ত জেলেই ঠাঁই। কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এখন দিনমজুরি পাবেন চল্লিশ টাকা। বাবার সাজা ঘোষণার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে ৷
advertisement

ডেরায় তল্লাশিতে প্রতিদিন যে তথ্য সামনে আসছে তাতে নতুন করে চমকে উঠছেন সকলে ৷ সিরসায় রাম-রহিমের ডেরায় শনিবারও তল্লাশি। প্লাস্টিকের নিজস্ব মুদ্রা-র পর এবার বিস্ফোরক কারখানার হদিশ। পাওয়া গেল নম্বর প্লেট হীন গাড়ি। খোঁজ মিলল সাধ্বীদের ঘরে যাওয়ার সুড়ঙ্গের। বাবার নানা কীর্তি খতিয়ে দেখতে ৮০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

advertisement

গত দু’দিন ধরে ডেরায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তবাহিনী ৷ এবার সামনে এল সাধ্বীদের হোস্টেলে অভিসারে যাওয়ার গোপন রাস্তা ৷ ইচ্ছে হলেই যখন তখন সাধ্বীদের আবাসে চলে যেতে পারতেন বাবা রাম রহিম, তাও লোকচক্ষুর আড়ালে ৷ পুরনো রাজবাড়ি, কিংবা দুর্গ-কেল্লায় রাজরাজাদের জন্য যেমন গোপন মার্গ থাকত, তেমনি সুড়ঙ্গ পথের সন্ধান মিলল ডেরা সাচ্চা সওদায় ৷ ডেরায় বাবার বিলাসবহুল প্রাসাদ থেকে সরাসরি সাধ্বীর হস্টেল অবধি একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান মিলেছে ৷

advertisement

সুড়ঙ্গ বলতে আমরা যেরকম ঘুটঘুটে , অন্ধকার, এখান-ওখান থেকে বেরিয়ে আসা গাছের শিকড়, উপর থেকে ঝুলছে বাদুড়, মাটিতে ইঁদুরের দৌড়, স্যাঁতস্যাতে একটি টানেল বুঝি, ডেরার সুড়ঙ্গ একদমই সেরকম নয় ৷ সেই গোপন রাস্তা শুধু লোকের চোখ বাঁচিয়ে যাতায়াতের রাস্তাই নয়, সেখানে রয়েছে চারটি ঘর, অ্যাটাচড বাথরুম ৷

তদন্তকারীদের অনুমান, এখানেই চলত বাবার রাসলীলা ৷ এই সুড়ঙ্গ পথই অন্যতম প্রমাণ ধর্ষক রাম রহিমের যাতায়াত ছিল সাধ্বীদের হোস্টেলে ৷

advertisement

এছাড়া ডেরা সাচ্চা সওদা ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বিস্ফোরকের কারখানা ৷ বেআইনি এই ফ্যাক্টরি থেকে ৮৪ বাক্স বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ একইসঙ্গে ওই কারখানা থেকে প্রচুর একে-৪৭-এর ফাঁকা বাক্সও মিলেছে ৷

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, লখনউয়ের জিসিআরজি ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস ডেরা থেকে ১৪টি মৃতদেহ পাঠানো হয়েছিল ৷ আশ্চর্যের বিষয়ে কোনও মৃতদেহেরই কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ছিল না ৷ উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এই বিষয়ে একটি নোট পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷

advertisement

প্রশ্ন উঠেছে কী করে একটি মেডিক্যাল কলেজে কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ও অনুমতি ছাড়ায় মৃতদেহ নিতে পারে ৷ ঘটনার তদন্তে গড়া হয়েছে একটি কমিটি ৷

মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার একটি দল ১৬ অগাস্ট হাসপাতাল ঘুরে দেখে। অ্যানাটমি বিভাগে ১৪টি শীর্ণ লাশ পায় তারা। অথচ ৬ জানুয়ারি যখন তারা পরিদর্শনে আসে তখন সেখানে মাত্র একটি লাশ ছিল ৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

রাম রহিমের ভক্তদের দেহ অনেক সময় মেডিক্যাল কলেজে দান করা হয়ে থাকত ৷ কিন্তু কেন তাদের কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ছিল না ৷ পরিষ্কার নয় তাদের মৃত্যুর কারণ ৷ নিয়ম অনুযায়ী, ডেথ সার্টিফিকেট ও পরিবারের অনুমতি পত্র ৷ এছাড়াও কী করে মেডিক্যাল কলেজে মৃতদেহগুলি নেয় ?

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
প্লাস্টিক মুদ্রার পর এবার গুরমিত রাম রহিমের ডেরার তল্লাশিতে যা সামনে এল তা ভয়াবহ!