এনডিটিভি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের একটি নজরদারি দলের তৎপরতাতেই এই ঘটনার কথা জানা যায়৷ শনিবার বিকেলে গাজিয়াবাদের মুরাদনগর এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিশের একটি দল৷ তখনই দুই যুবককে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা৷ কোথা থেকে দু জন আসছে, তা জানতে চান পুলিশকর্মীরা৷
আরও পড়ুন: ‘কারও ঐশ্বর্যকে বিয়ে করার ইচ্ছে থাকতেই পারে!’ চিরঞ্জিতের নিশানায় দলের কোন বিধায়ক?
advertisement
কিন্তু দুই যুবকের কথাবার্তায় পুলিশকর্মীদের সন্দেহ হয়৷ দুই যুবককে চেপে ধরতেই পুলিশের সামনে সত্যিটা স্বীকার করে নেয় তারা৷ অভিযুক্তরা জানায়, নিজেদের বোনের গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে খুন করে খালে ফেলে দিয়েছে তারা৷
সঙ্গে সঙ্গেই ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করতে তৎপর হয় পুলিশ৷ খালের জলে ডুবুরি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তল্লাশি শুরু করে৷ অভিযুক্ত দুই যুবককেও হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা শুরু হয়৷
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, দুই অভিযুক্তের নাম সুফিয়ান এবং মেহতাব৷ ধৃতরা জানায়, তাঁদের বোন শিবা দিল্লিতে নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে থাকতেন৷ সুফিয়ান উত্তরাখণ্ডের রুরকির বাসিন্দা৷ আর তার খুড়তুতো ভাই মেহতাব মুজফফরনগরে থাকে৷ সম্প্রতি নিজেদের বোন শিবার সঙ্গে অন্য সম্প্রদায়ের যুবকের সম্পর্কের কথা জানতে পারে তারা৷
এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেন সুফিয়ান এবং মেহতাব৷ এর পরেই নিজেদের বোনকে খুনের পরিকল্পনা করে তারা৷ শিবা নামে ওই যুবতীকে প্রথমে গাজিয়াবাদের ওই খালের কাছে নিয়ে যায় তারা৷ এর পরেই তাঁকে খুন করে খালে ফেলে দেওয়া হয়৷ ওই তরুণীর পোশাক, চটি এবং গামছা খালের জল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তরুণীর দেহ মেলেনি বলেই খবর৷