হিমাচলের মান্ডি, ছামবা এবং কাংড়া জেলাতেই সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে৷ রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সবমিলিয়ে আহতের সংখ্যা দশ৷
আরও পড়ুন: নিম্নচাপ সরলেও রক্ষা নেই, রবিবার দিনভর রাজ্যের কোন জেলায় কত বৃষ্টি হবে? জানুন
প্রবল বৃষ্টির জেরে মানালি- চণ্ডীগড় এবং সিমলা-চণ্ডীগড়ের মধ্যে সংযোগকারী জাতীয় সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ রাজ্যে সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে সাতশো রাস্তায় এই দুর্যোগের জেরে যান চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়েছে৷
advertisement
শুধুমাত্র মান্ডি জেলাতেই হড়পা বান এবং ধসের জেরে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে৷ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন ছ' জন৷ নিখোঁজদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই জানিয়েছেন পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা৷
ইতিমধ্যেই রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে৷ নিখোঁজদের খোঁজার পাশাপাশি ধসের জেরে মাটি, বাড়ি, ঘরের নীচে কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, তাও খুঁজে দেখা হচ্ছে৷ হড়পা বানের জেরে কাংড়া জেলায় একটি রেল সেতুর একাংশও ভেঙে পড়েছে৷ মৃতদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর৷
দুর্যোগের মধ্যেই হিমাচল প্রদেশের জন্য খারাপ খবর শুনিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান দফতর৷ আগামী ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ভারী বৃষ্টি চলার পূর্বাভাস দিয়ে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷