ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির আমাদের জন্য একটা আস্থার বিষয়। সারা ভারতবর্ষ সহ উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ দীপাবলির সময়ে এখানে আসেন। এছাড়া অনেকে ঘুরতেও আসেন। ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও সারা দেশে সমাদৃত হয়েছে মাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির। তাই প্রতিনিয়ত মানুষ এখানে আসছেন। মহালয়ার পূণ্যলগ্নে এধরণের একটা অনুষ্ঠান সত্যিই আনন্দের। এতে ভক্তিভাব ও আমাদের পরম্পরার মিশ্রণ এবং সনাতন ঐতিহ্যকে ধরে রাখার মেলবন্ধন তৈরি হবে। যে শিল্পীরা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন নিশ্চয়ই তারা তাঁদের প্রতিভা মেলে ধরবেন।
advertisement
ড মানিক সাহা আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, প্রসাদ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি এই মন্দিরের উন্নয়নে আর্থিক বরাদ্দ করেছেন। প্রায় ৩৭ কোটি টাকার অধিক আর্থিক প্রকল্প দিয়ে সহায়তা করেছেন তিনি। ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নে কিছুদিন আগে ট্রাস্টের বৈঠক হয়েছে। আর সেই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আমি নিজেই। বৈঠকে নতুনভাবে গড়ে উঠা মন্দিরের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে সেনিয়ে আলোচনা হয়।
নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার খুব সহসাই কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন। আর যখন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে তখন এটা সারা দেশের মধ্যে অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এটাকে সামনে রেখে আশপাশ এলাকায় হোটেল থেকে শুরু করে দোকানপাটও বাড়বে। এতে আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এই মন্দিরের নতুন পরিকাঠামো শুরু হওয়ার আগে ২০১৮ সালের ৭ জুন ভারতের পূর্বতন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
মানিক সাহা বলেন, আমরা এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলার যে উদ্যোগ নিয়েছি সেটা একমাত্র মাতা ত্রিপুরা সুন্দরীর আশীর্বাদে সম্ভবপর হবে। এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আসন্ন দুর্গাপুজোর প্রাক মুহূর্তে এধরণের উৎসবের আয়োজন এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। সবাইকে দুর্গাপুজোর আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।