#কলকাতা: ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন৷ এক বছর আগেও পুর নির্বাচনের সময় যে নেতাকে সক্রিয় অবস্থায় জোড়া ফুলের পতাকা নিয়ে ত্রিপুরায় সংগঠনের কাজে ব্যস্ত থাকতেন, তিনি দল ছাড়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আশিষ লাল সিংহের বাবা প্রয়াত শচীন লাল সিংহের স্মরণে যোগদান মেলার আয়োজন করে কংগ্রেস। আর সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে, কংগ্রেসে যোগ দিলেন বাপটু চক্রবর্তী।
advertisement
শচীন লাল সিংহ, ত্রিপুরার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বা প্রশাসক হিসাবে পরিচিত। ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলের অন্দরের খবর, আশিষ লাল সিংহের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে। সাম্প্রতিক সময়ে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচীতে দেখা যায় না। যদিও তিনি জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন৷ এই সব জটিলতার মধ্যেই বাপটুর তৃণমূল ত্যাগ নিয়ে বিরোধীরা আক্রমণ শানাতে ভোলেননি।
আরও পড়ুন : পাখির চোখ 'চব্বিশ'! বঙ্গ বিজেপিতে এবার 'গুজরাত মডেল', বড় সিদ্ধান্তের পথে নেতৃত্ব
গত বছর তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছিল, উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে তারা সংগঠন মজবুত করতে চায়৷ সেখানের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। এই অবস্থায় ২০২১ সালে ত্রিপুরায় পুর নির্বাচনে লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে শতাংশের বিচারে দ্বিতীয় স্থান দখল করে তারা। যদিও বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই দল ছেড়ে নেতা চলে যাওয়ায় নানা রাজনৈতিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
অনেকেই বলছেন, ২০২২ সালের বিধানসভা উপনির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ার অন্যতম কারণ এই অন্তঃদ্বন্দ্ব৷ যেখানে ত্রিপুরা তৃণমূল সভাপতি সুবল ভৌমিক হয়ে যাওয়ার পরে অনেকের পছন্দ হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতার বক্তব্য, নিজের পছন্দের ব্যক্তিকেই বারবার তিনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এমনকি তার প্রকাশ বিধানসভা উপনির্বাচনেও ঘটেছে বলে দাবি তাদের। যদিও কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বাপটু চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "বিজেপির বি-টিমের মতো কাজ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অস্তিত্ব থাকবে না রাজ্যে। আমার আবেগের সাথে কংগ্রেস জড়িয়ে আছে। আমি কংগ্রেস পরিবারে বেড়ে উঠেছি। আমি ২২ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছিলাম তৃণমূলে। মাত্র ১১ মাসেই আমার মোহভঙ্গ হয়েছে।
আরও পড়ুন : হাতে জাতীয় পতাকা! অর্জুনের গড়ে 'তেরঙ্গা যাত্রায়' শুভেন্দু অধিকারী, স্লোগানে বললেন...
বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে এই রাজ্যে কংগ্রেসই পারবে।" সুদীপ রায় বর্মণের কংগ্রেসে যোগ দান। এর পর উপনির্বাচনে জিতে আসা ভালো প্রভাব ফেলেছে ত্রিপুরার অন্দরে৷ সেখানে পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একাধিক ব্যক্তির কংগ্রেসে যোগদান অবাক করেছে তৃণমূল নেতৃত্বকেই। যদিও ত্রিপুরা তৃণমূলের স্টেট ইনচার্জ রাজীব বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "যে নিজের ওয়ার্ডে তৃতীয় স্থান পায় সে চলে যাওয়ায় আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। মানুষের কাছে বিভিন্ন ইস্যু নিয়েই আমরা পৌঁছে যাব।"