সোমবার ১০,৩২৩-এর বিধানসভা অভিযানের সময় পুলিশের হাতে আক্রান্ত হওয়ার প্রসঙ্গে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "১০৩২৩ জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন অর্থাৎ বামফ্রন্ট তাঁদের চাকরি দিয়েছিল, অথচ পার্মানেন্ট করতে পারেনি। ঠিক সেইভাবে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তাঁরা ক্ষমতায় এলে এই ১০৩২৩ জনের চাকরি পাকা করবে কিন্তু বিজেপি প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি, তাঁরা এখন অনাহারে দিন কাটাচ্ছে, বেকারত্বের মধ্যে দিয়ে দিন যাচ্ছে, বহু লোক আত্মহত্যা করেছে, আবার কেউ মারা গিয়েছেন।"
advertisement
আরও পড়ুন: 'উনি এমন করতে পারলেন?' প্রবল ক্ষুব্ধ সনিয়া, চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন গেহলট
রাজীবের কথায় জানা আয়, বিধানসভা অভিযানের ত্রিপুরা রাজ্যের ভারতীয় জনতা পার্টির পুলিশ তাঁদের উপর লাঠি চার্জ করেছে।
রাজীব বলেন, "আজ একটা দুঃখজনক, নক্ক্যারজনক ঘটনা ঘটেছে এই আগরতলার প্রাণ কেন্দ্রে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আজকে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছে ও চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের পাশে আছি এবং আগামী দিনে তাঁদের পাশে থেকে যতদূর যেতে হয় যাব।"
প্রসঙ্গত এই শিক্ষকদের পাশে থাকার বার্তা এর আগেও দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন সময় দলের একাধিক নেতা গিয়ে দেখা করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে৷ এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তাদের একাধিক ইস্যুতে সমর্থন জানাতেও দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে৷ পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় ফের সরব তৃণমূল।
আরও পড়ুন: মেয়াদ বাড়ছে? ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের বিজেপি সভাপতি হতে পারেন জেপি নাড্ডা
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, "এই সব শিক্ষকদের এমন অবস্থার জন্য দায়ী ছিল বাম সরকার। পরবর্তী সময়ে রাজনীতি করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিজেপি তাঁদের কাছে টানার চেষ্টা করেছিল। এখন বিজেপি এই সব শিক্ষকদের দিকে ঘুরেও তাকাচ্ছে না। মানুষ তার ন্যায্য অধিকার চাইতে গেলে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষকদের মারধর করা হচ্ছে। এটাই ডবল ইঞ্জিন সরকারের চেহারা।"