শেষ বিধানসভা ভোটে, ত্রিপুরায় তৃণমূল পেয়েছে ০.৮৮ শতাংশ। নোটায় ভোট পড়েছে ১.৩৬ শতাংশ। ত্রিপুরায় বিজেপি ৩২টি আসনে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে। ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন জেতার পরই ত্রিপুরার দিকে নজর পড়েছিল তৃণমূলের। সেই রাজ্যের পুরভোটে বিজেপিকে টেক্কা দিতে ঝাঁপিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেরাজ্যে গিয়ে প্রচার করেছিলেন দলের হয়ে। তবে ত্রিপুরার ৬০টি আসনে মাত্র ২৮টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। এই আবহে টিলার রাজ্যে তৃণমূলের থেকে ভাল ফলের প্রত্যাশা করা হচ্ছিল না দলের পক্ষ থেকেও। তাও একটি আসনে কিছুক্ষণের জন্য এগিয়ে গিয়েছিল জোড়াফুল। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলকে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে ত্রিপুরা থেকে।
advertisement
এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘তোলামূল’ বলে আখ্যা দিয়ে তোপ দেগেছে তৃণমূলকে। উল্লেখ্য, মাত্র ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েই ত্রিপুরা দখল করল বিজেপি। সিপিআইএম পেয়েছে ২৪.৬ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ৮.৬ শতাংশ ভোট। তৃণমূল পেয়েছে ০.৮৮ শতাংশ। নোটায় ভোট পড়েছে ১.৩৬ শতাংশ। ত্রিপুরায় বিজেপি ৩২টি আসনে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে এর আগে সরানো হয়েছে সুবল ভৌমিককে।
আপাতত দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সুস্মিতা দেব ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা ছিল নয়া সভাপতি কে হতে চলেছেন? সেখানেই গত ডিসেম্বর মাসে দিল্লিতে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। প্রাক্তন এই ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি একজন পরিচিত আইনজীবী ৷ দীর্ঘদিনের নেতা হিসাবেও পরিচিত। গত বছর অক্টোবর মাসে কংগ্রেস ছেড়ে তিনি তৈরি করেন ত্রিপুরা ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট৷