আরও পড়ুন: ভয়াবহ! একলাফে ৯১ হাজার ছুঁই ছুঁই দৈনিক সংক্রমণ! করোনা-কম্পে কাঁপছে গোটা দেশ...
গত ২৮ অগস্ট টিএমসিপি (Tripura TMC) অনুষ্ঠান করেছিল ত্রিপুরায়৷ অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে মারধর করা হয় মজিবরকে। এরপর তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় এনে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ সেখানেই মৃত্যু হয় মজিবরর।
advertisement
যদিও ত্রিপুরা বিজেপির দাবি, এর সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। তাদের দলের কেউ ওই দিন ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বিজেপি নেত্রী অস্মিতা বণিক জানিয়েছেন, "যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু এই মৃত্যুর সঙ্গে আমাদের কোনও কর্মী যুক্ত নয়। তৃণমূল কংগ্রেস মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে।" যদিও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, "গত ২৮ অগস্ট তৃনমূল ছাত্র পরিষদের (Tripura TMC) প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে গিয়ে বাধারঘাটে নিজের বাড়িতেই বিজেপি-র আক্রমণের শিকার হন মজিবর। তাঁর একটা হাত ভেঙে গুঁড়ো করে দেওয়া হয়েছিল এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোহার রড দিয়ে মারা হয়েছিল। আমরা সেদিন তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমি কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর থেকে তিনি কলকাতার SSKM হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।"
আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তেই বিরাট রদবদল বাংলার আবহাওয়ায়? বৃষ্টি-কুয়াশার সতর্কতা আজ থেকেই! তারপর?
গতকাল সকাল ৬.৩০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে।গতকালই ত্রিপুরা রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আইন শৃঙ্খলা থেকে কর্ম সংস্থান সহ একাধিক ইস্যুতে ত্রিপুরায় আন্দোলন শুরু করছে তৃণমূল। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ১৫ দফা দাবিতে রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই মজিবর ইসলাম মজুমদারের মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়।
রাজ্যের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, প্রতিনিয়ত মহিলা নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, ব্যাপকহারে বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট, বিরোধীদলের কর্মী নেতাদের উপর আক্রমন, কাৰ্য্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া, সংবাদপত্রের অফিস পুড়িয়ে দেওয়া, সাংবাদিক নিগ্রহ এবং সাধারণ জনগণের উপর প্রতিনিয়ত আক্রমন ও হেনস্থা তথা বাইক বাহিনীর দৌরাত্মের প্রতিবাদে গতকাল অভিযান করেছিলেন তাঁরা।
এরই মধ্যে মজিবর ইসলাম মজুমদারের মৃত্যু তৃণমূলের হাতে নতুন 'অস্ত্র' তুলে দিল বলেই মনে করছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহল।আজ মজিবরর দেহ প্রথমে নিয়ে আসা হবে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে। সেখান থেকে সাড়ে বারোটা নাগাদ নিয়ে যাওয়া হবে ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনে, তারপর তার আগরতলার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। পরের দিন তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সোনামুড়ার দূর্গাপুরের বাড়িতে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।