সেখানে জনৈকা মহিলা বলেন, ‘‘আপনার কাছে আমাদের আর্তি, আপনি তো এখন মুখ্যমন্ত্রী দয়া করে জল জমার ভোগান্তি থেকে আমাদের মুক্ত করুন। গত কয়েকদিন ধরে দুর্বিসহ জীবন কেটেছে আমাদের। প্লিজ আপনি দেখুন যাতে দ্রুত এই অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি হয়।’’ জমা জলের যন্ত্রণা যে আছে তা মেনে নিয়েছেন মানিকবাবুও। তিনি ভোটারদের কাছে জানিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধানের সব রকমের চেষ্টা করা হবে। কাজ চলছে। মানুষের এই অসুবিধার জন্য দুঃখিত। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত চলছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। বাদ যায়নি ত্রিপুরাও ৷ জমা জলে বানভাসি হয়ে পড়েছিল আগরতলা শহরের একাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন-আগামী মাসেই ত্রিপুরায় উদ্বোধন হতে চলেছে তৃণমূলের নয়া দলীয় কার্যালয়ের
বিরোধীরা যা নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেন বিজেপি সরকারকে। স্মার্ট সিটির এই হাল কেন? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি বিরোধীরা নেতারা। এদিন তার জবাবে মানিকবাবু জানিয়েছেন, ‘‘এত বছর সরকার তো ছিল ওদের৷ ওরা কেন কোনও কাজ করেনি৷ আমরা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছি৷ মানুষের যা যা অসুবিধা আছে তা দূর করা হবে।’’ এদিন সকালে যোগা দিবসের কর্মসূচি সেরেই প্রচারে বেরিয়ে পড়েন মাণিকবাবু ৷ স্পোর্টস শু আর জগিংয়ের পোশাক পরেই শুরু করেন প্রচার। কাদা, জল পেরিয়েই চলে প্রচার।
আরও পড়ুন- লাল পেঁয়াজের তেলের ছোঁয়ায় চুল হবে তরতাজা ও জেল্লাদার, রইল তেল তৈরির সহজ প্রক্রিয়াও
এদিন তিনি জানান, মানুষ উন্নয়ন নিয়েই কথা বলছে। আমরাও উন্নয়ন নিয়ে কথা বলছি। আমি উন্নয়নের পক্ষে সওয়াল করেই মানুষের কাছে ভোট চাইছি। সকাল থেকে ভোট প্রচারে বেরিয়ে তার চোখ অবশ্য ছিল আকাশের দিকেই। নিজেই মানছেন ভোটে আসল প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবহাওয়া ৷ ফের যদি ভারী বৃষ্টি নামে, আর তাতে যদি শহর আবার ভাসে তাহলে মানুষ বুথ মুখী হবে কি করে? তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, জমা জল বিপক্ষে যেতে পারে বিজেপির ৷ তাই আবহাওয়া নিয়ে বেজায় চিন্তায় শাসক দল।বিরোধীদের অবশ্য আক্রমণ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, "কংগ্রেস আসলে অস্তিত্ব হীন৷ বামেদের মানুষ চাইছে না। তৃণমূল ফ্যাক্টর হবে না।" প্রসঙ্গত, মাণিক বাবুর বিরোধী প্রার্থী কংগ্রেসের হেভিওয়েট আশিষ সাহা৷ যিনি বিজেপি ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।