তিনি বলেন, আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার হিসেবে রাজ্যের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর। বিশেষ করে আগরতলা শহরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল তাঁর। যদিও অকাল প্রয়াণের কারণ সেই স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেন নি তিনি।
আরও পড়ুন- নজরে সংখ্যালঘু ভোট, আজ ইমাম সংগঠনের সভা
advertisement
উল্লেখ্য ১৯ অগাস্ট মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্যর জন্মদিন উপলক্ষে গোটা রাজ্যেই সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই মহারাজের জন্মদিনকে মহা সমারোহে পালন করা হয়ে থাকে। এই দিনটি সাড়ম্বরে পালনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে। তার ব্যতিক্রম হল না এবারও।
এদিন সকালে আগরতলার এমবিবি চৌমুহনীতে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। পরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মানুষকে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য সম্পর্কে আরও জানতে হবে। উনি ত্রিপুরার জন্য কী কী করেছেন সেটা জানতে হবে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, গত বিধানসভা ভোটে রাজবাড়ির ভোট ছিল তিপ্রামোথার মাধ্যমে ৷ এবার সেই ভোটকে লোকসভায় সম্পূর্ণ ভাবে ব্যবহার করতে চায় শাসক দল। তাই মহারাজা আবেগে শান দিচ্ছে তারা ৷ তবে মোথা কোন দিকে যাবে, তা অবশ্য নির্ভর করে আছে রাজবাড়ির অন্দরেই ৷