আগরতলা: কালী প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বেরিয়েছিল এই শোভাযাত্রা। সেখানে একটি গাড়িতে মঞ্চের মতো একটা স্টেজ তৈরি হয়েছিল। চলছিল গানবাজনাও। বিশাল শোভাযাত্রার জেরে তুমুল যানজট তৈরি হয়। পুলিশের তরফে ওসি গিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের আবেদন জানান ক্লাব কর্মকর্তাদের কাছে। এর পাশাপাশি, কম আওয়াজে সাউন্ড বক্স বাজানোর কথাও বলেন। তবে পুলিশকর্তার কথায় কর্ণপাত করেননি পুজো উদ্যোক্তারা। ফলে ওসি নিজেই ওই গাড়িতে উঠে সাউন্ড বক্স বন্ধ করে দেন। এরপরই তাঁকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেন উত্তেজিত উদ্যোক্তাদের একটা বড় অংশ। ওই গাড়ি থেকে ওসিকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে চলতে থাকে কিল, চড়, লাথি, ঘুষি। এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী৷
advertisement
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বক্স বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন স্বয়ং পুলিশ আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া থানাতে। বিলোনিয়া থানার ওসিকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, ওসি’কে মারধরের পরে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের ধমকানও বিলোনিয়া ওরিয়েন্টাল ক্লাব কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানের শিল্পীরা অভিযোগ করেন আক্রান্ত ওসি’র বিরুদ্ধে। ওসির নাম শিবু রঞ্জন দে৷
ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে তিনজন। বাকিদের সন্ধানে চলছে জোরদার তল্লাশি৷ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশ সাউন্ড বক্স বন্ধ করেছিল বলে ওসিকে নামিয়ে মারের অভিযোগ। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার কিছু বলবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে?’’
ত্রিপুরা কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ বর্মণ বলেন, ‘‘পুলিশ স্কুলের বাচ্চা আর বিরোধীদের সামনে সিংহ। আর শাসক দলের নেতাদের সামনে হল ইঁদুর। আশাকরি, শীঘ্রই পুলিশ আইন শৃঙ্খলা সামলাতে পারবে। তারা আবার ভাল কাজ করবে৷’’
