দালালদের সহযোগিতায় প্রথমে বেঙ্গালুরু যায় এবং মাথাপিছু পাঁচ হাজার টাকা করে, অর্থাৎ মোট পনেরো হাজার টাকা দিয়ে সেখানে তিনটি আধার কার্ড তৈরি করে। বেঙ্গালুরুতে কিছুদিন অবস্থানের পর তারা কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় তিন মাস কাটায়। পরবর্তীতে আবার ত্রিপুরায় ফিরে এসে পশ্চিম চন্দ্রপুর এলাকার এক দালাল ইসলাম-এর বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে ইসলাম নামে ওই দালালকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে, তিন জন বাংলাদেশি নাগরিক—মোঃ নুর আলম, রায়হান মিয়া এবং মহিউদ্দিন—কে আটক করে ধর্মনগর আরক্ষা দপ্তরে নিয়ে আসে পুলিশ। তিনজনেরই বাড়ি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বলে জানা গেছে।
অভিযোগ, দালাল ইসলাম ভারতে প্রবেশ করানোর সময় মাথাপিছু ১২ হাজার টাকা করে নেয়। বর্তমানে গোটা ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং সীমান্ত পারাপার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। বিএসএফের টহলদারি থাকার পরেও সীমান্ত ডিঙিয়ে অবাধে ত্রিপুরায় প্রবেশ করছে বাংলাদেশি নাগরিকরা। ত্রিপুরার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে ব্যাঙ্গালোর, জলপাইগুড়ি, কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলে যায়।
গত কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরা থেকে একের পর এক অবৈধ নাগরিক গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে জোরদার রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তবে সীমান্ত এলাকায় বেড়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও পুলিশের টহলদারি।
