বন্যার্তদের আশ্রয় দিতে পশ্চিম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ত্রাণ শিবির খোলা হয়। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রপুর, প্রতাপগড় ও বড়দোয়ালি-সহ বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
advertisement
এর পাশাপাশি স্বামী দয়ালানন্দ স্কুল, রামঠাকুর গার্লস স্কুল, বিবেকানন্দ স্কুল, প্রগতি স্কুল সহ বিভিন্ন ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করে মানুষের খোঁজখবর নেন তিনি। কথা বলেন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সঙ্গে। জেনে নেন তাদের সমস্যা সম্পর্কে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রিত মানুষের থাকা খাওয়ার যাতে কোন সমস্যা না হয় সেবিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত দু’দিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুধু ত্রিপুরায় নয়, সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অসমের শিলচর, অরুণাচল-সহ বিভিন্ন প্রদেশে প্রচুর পরিমাণে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল, রবিবার ও আজ, সোমবার মিলে ত্রিপুরাতেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে বেশি বৃষ্টি হলেও জমা জল সরে গিয়েছে। এতে বোঝা যায় যে জলের বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা ঠিক রয়েছে। যদিও এনিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। আজ শ্রীলঙ্কা বস্তি সহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করতে বেরিয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২৪/২৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে বন্যার্তদের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিক্যাল টিমকেও তাদের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। স্যানিটারির ব্যবস্থা ঠিক রাখতেও নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ভলান্টিয়ার, আপদা মিত্র সবাই মিলে কাজ করছে। এধরণের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আমরা কতটুকু প্রস্তুত রয়েছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সেভাবেই প্রশাসন, পুর নিগমের কর্মী আধিকারিকগণ কাজ করছেন। আমাদের কার্যকর্তাগণও প্রচুর পরিশ্রম করছেন।’’