আরও পড়ুন– স্ব-মহিমায় ফিরবেন অনুব্রত মণ্ডল? ঘুরপাক খাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন
তিনি বলেন, হিংসা ও উগ্রপন্থা দিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান করা যায় না। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার জনজাতিদের সার্বিক বিকাশে অগ্রাধিকার দিয়ে নানারকম প্রকল্প রূপায়িত করেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং দুই বৈরি গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির অংশ হিসেবে এই আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এনএলএফটি (ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা) ও এটিটিএফ (অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স ) বৈরী গোষ্ঠীর ৫৮৪ সদস্য আত্মসমর্পণ করে। গত ৪ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার উপস্থিতিতে ভারত সরকার, ত্রিপুরা সরকার, এনএলএফটি এবং এটিটিএফ-এর মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন– তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু এবার থেকে তৈরি হবে নন্দিনী ঘি দিয়ে, বিতর্কের মাঝেই এই সিদ্ধান্ত
এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বিশ্বমোহন দেববর্মা, এনএলএফটি (বিএম), পরিমল দেববর্মা, সভাপতি, এনএলএফটি (পিডি), প্রসেনজিৎ দেববর্মা, সভাপতি, এনএলএফটি (ওআরআই) এবং অলিন্দ্র দেববর্মা, সভাপতি, এটিটিএফ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে AK সিরিজের রাইফেল নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘আজকের এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান শান্তি চুক্তির ফলাফল। যা শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ত্রিপুরার এগিয়ে চলার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। যতক্ষণ শান্তি সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলা আসবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সমৃদ্ধি আসবে না।’’ মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দেন। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা লক্ষ্য করছি যে উত্তর পূর্বাঞ্চল একটা সময় সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত থাকলেও এখন এই সমস্যা থেকে প্রায় মুক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে এই অঞ্চলে প্রায় ১২টি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি ত্রিপুরার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ রাজ্য ও দেশে শান্তি না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। আজ থেকে আমরা বলতে পারি ত্রিপুরা সন্ত্রাসমুক্ত রাজ্য।’’