আরও পড়ুন– ফের প্রকাশ্যে সচিন-কাম্বলি জুটি ! কাম্বলি গাইলেন গান, হাততালি দিলেন মাস্টার ব্লাস্টার
নবম শ্রেণীর ছাত্রীদের জন্য রাজ্যভিত্তিক বাই সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বলেছেন ‘‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’। এর আগে আমরা কিন্তু এসব কথা কখনও শুনি নি। পড়াশুনার দিকে মেয়েরা এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। সেদিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও স্বার্থক হয়েছে। আমাদের সরকার এখানে আসার পর সরকারি ও সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলগুলিতে বিগত কয়েক বছর ধরে নবম শ্রেণীর ছাত্রীদের বাই সাইকেল বিতরণ করা হচ্ছে। আর এটা একটা ল্যান্ডমার্ক উদ্যোগ। আমাদের রাজ্য সরকার শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন ধরণের বহুমুখী প্রকল্প রূপায়ণ করছে। এর মধ্যে বাই সাইকেল বিতরণ অন্যতম একটা।’’
advertisement
আরও পড়ুন– জমিয়ে শীতের আমেজ ফিরতে চলেছে, সপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গে পারদ পতনের ইঙ্গিত
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, মহিলাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। ৮৩ হাজারের উপরে লাখপতি দিদি রয়েছেন ত্রিপুরায়। টিএসআরে প্রথম পর্যায়ে ১৩৭ জন মহিলাকে নিয়োগ করা হয়েছে। সেখানেও তাদের সেরা পারফরম্যান্স প্রত্যক্ষ হয়েছে। শুধু বাই সাইকেল বিতরণই নয়, পরীক্ষার মাধ্যমে ১০০ জন ছাত্রীকে নির্বাচিত করে স্কুটি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সরকার আসার পর জমিজমা ক্রয়ের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি ১ শতাংশ কম করা হয়েছে। শিশু ও মহিলাদের জন্য পিঙ্ক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০২২-২৩ শিক্ষা বর্ষে ২৩,৩০০ জন ছাত্রীকে বাই সাইকেল প্রদানের ব্যবস্থা হয়েছে। এজন্য ১০ কোটি ১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, আমাদের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সুপার থার্টি প্রকল্প ২০২০ – ২১ শিক্ষা বর্ষ থেকে শুরু হয়। এই প্রকল্পে দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৩০ জনকে বাছাই করা হয়। আর তাদের ইচ্ছামতো বেস্ট কোচিং সেন্টারে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। যেখানে জেইই ও নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারে তারা। এর জন্য প্রতি শিক্ষার্থী পিছু ২ বছরে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে ব্যয় করা হয়। এখনও পর্যন্ত ১৪৪ জন ছাত্রছাত্রী এই সুযোগ পেয়েছে। তার মধ্যে ৭ জন আইআইটিতে, ১১ জন এনআইটিতে, ১০ জন এমবিবিএস কোর্সে পড়ার সুযোগ অর্জন করেছে।