যেখানে ড্রোনটি পাওয়া যায় সেই জায়গাটি সীমান্তের ভারতীয় অংশে কাঁটাতারের বেড়া থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে অবস্থিত। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মতে, গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় ড্রোনটি উড়তে দেখা গেছে। সন্দেহ এটি বাংলাদেশের দিক থেকে এসেছিল। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্যামেরা লাগানো ড্রোনটি উদ্ধার করে। ত্রিপুরা পুলিশ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী উভয়ই সংবেদনশীল সীমান্ত অঞ্চলে ড্রোনটির উৎপত্তিস্থল এবং এর ওড়ার পিছনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে। সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় কী ভাবে ওই ড্রোন এল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয়। কী কারণে ওই ড্রোন ওড়ানো হয়েছে, কোন পথে সেটি এসেছে— সেই সব বিষয়ই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই ড্রোনটির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে।
advertisement
বাংলাদেশের ড্রোন ভারতে ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষত, অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাতেই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের টহলদারি বেড়েছে। পাশাপাশি ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস জওয়ানদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সীমান্ত এলাকায়। এর আগেও সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামে অনুপ্রবেশের অভিযোগ এসেছিল। একাধিক জনকে আগরতলা থেকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে রেল স্টেশন-সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তবে ড্রোনের ঘটনা নিয়ে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায়।