কংগ্রেসের একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে দলে টেনেও গোয়ায় বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি তৃণমূল৷ এবার ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনেও বিপর্যয়ের মুখে ঘাসফুল শিবির৷ নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ত্রিপুরায় সাকুল্যে এক শতাংশ ভোটও পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূলের তুলনায় নোটা-তে ভোট পড়েছে বেশি৷
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় সরকার গড়ার পথে বিজেপি, সাগরদিঘিতে ২৫ হাজার ভোটে জয়ী বাইরন বিশ্বাস
advertisement
ত্রিপুরার সার্বিক ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি৷ ত্রিপুরার ৬০টির মধ্যে মোট ২৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তৃণমূল৷ এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ত্রিপুরায় মাত্র ০.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল৷ সেখানে নোটা-তে ভোট পড়েছে ১.৩৬ শতাংশ৷ নোটা-তে ভোট পড়েছে ৩৪ হাজারের কিছু বেশি৷ সেখানে ২২ হাজারের কিছু ভোট পেয়েছে তৃণমূল৷
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে এবারেও গেরুয়া ঝড় উঠেছে৷ প্রায় ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি৷ যদিও লড়াই দিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট৷ উল্লেখযোগ্য ফল করেছে প্রথমবার ভোটে লড়া তিপ্রামোথাও৷
আরও পড়ুন: শুধু জোটের জয় নয়, এই চার কারণে তৃণমূলের চিন্তা বাড়াবে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে ২৪টি আসনে প্রার্থী দিয়ে সাকুল্যে ৬,৯৮৯ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। শতাংশের হিসাবে ০.৩। এ বার ২৮টি আসনে লড়ে প্রাপ্তির ঝুলিতে ২২ হাজারের কিছু বেশি ভোট।
২০২১ সালের নভেম্বরের পুরভোটে আগরতলায় প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল তৃণমূল। আগরতলা পুরনিগমের ৫১টি ওয়ার্ডের ৫১টিতেই বিজেপি জয়ী হলেও শহরের ২৬টি ওয়ার্ডে তৃণমূল ছিল দ্বিতীয় স্থানে। বামেরা দ্বিতীয় হয়েছিল ২৫টি ওয়ার্ডে।
তবে ত্রিপুরায় বিপর্যয় নামলেও মেঘালয়ে অবশ্য প্রথমবার ভোটে লড়েই পাঁচটি আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল। যদিও এই বিধায়কদের ধরে রাখাই এখন তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।