তিপ্রামোথাকে তীব্র কটাক্ষ করে মানিক বলেন, "গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড আমরা মানছি না এবং আগামিদিনেও মানব না।" পাশাপাশি, তিনি জানতে চান, তিপ্রামোথা যে গ্রেটা তিপ্রা ল্যান্ড চাইছে, তার মানচিত্র কোথায়? এখন পর্যন্ত কেন তাঁরা মানচিত্র বের করতে পারলেন না। এমনকি, তিপ্রামোথার ইস্তাহারেও এই মানচিত্রের উল্লেখ নেই বলে জানান মানিক। তিনি আরও বলেন, "সব দল আসবে আর যাবে কিন্তু বিজেপির পতাকা শুধু চিরস্থায়ী হয়ে উঠবে ত্রিপুরায়।"
advertisement
তিপ্রামোথার পাশাপাশি, এদিন বাম-কংগ্রেস জোটকেও একহাত নেন মানিক। এদিন বাম-কংগ্রেস জোট ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সুশীল রায় এবং দিলীপ কুমার ঘোষ। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, "বাম কংগ্রেস জোটকে ২০২৩-এর পরে মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না আর। এই জোট আমাদের পথ মসৃণ করেছে। ওঁরা জোট নিয়ে ব্যস্ত এবং আমরা উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত।"
আরও পড়ুন: প্রচারমঞ্চে দাঁড়িয়ে মানিক সাহাকে দরাজ সার্টিফিকেট রাজনাথ সিং-এর, তোপ তিপ্রামোথার মাথা-কে
এদিনের সভামঞ্চ থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন তিনি বক্তব্যের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। বলেন, "কথা দিয়ে কথা রাখার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। একজন স্বচ্ছ ও সরল মনের মানুষ। আগামী দিনে দেশের উন্নয়নে এ রাজ্যের যোগদান আরও প্রবল হয়ে উঠবে এই নেতার নেতৃত্বে। বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছে। সবকটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প এরাজ্যে যথাযথভাবে কার্যকর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরা-সহ সমগ্র উত্তর পূর্বের উন্নয়নের দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।" রাজনাথের আশা, সরকারের কাজের নিরিখে বিজেপি সরকারকে আরও বেশি আসনে জিতিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন ত্রিপুরার সাধারণ মানুষ।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন।