একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর, নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মিলিত হন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ত্রিপুরা রাজ্যকে আরও কীভাবে বিকাশের দিশায় এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন- এই বিশেষ ধাতুর গণেশ বাড়িতে আনলেই দূর হবে অভাব-অনটন! রাতারাতি বড়লোক হবেন
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০’র বৈঠক সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উন্নয়ন কর্মসূচির রূপায়ণ ও আগামীদিনের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে অবহিত করেন। বৈঠকে রাজ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্প এবং প্রধানমন্ত্রী ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পগুলির অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। আলোচনা কালে রাজ্যে এ সমস্ত প্ৰকল্প রূপায়ণ ও রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে বেশকিছু পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী।এর পাশাপাশি বৈঠকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু, মৈত্রী সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল, আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্প ও জাতীয় সড়কের কাজের অগ্রগতি নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন- দুঃসংবাদ! ছেড়ে চলে গেল আদরের বোন, প্রিয়জনকে হারিয়ে শোকে পাথর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জানান, রাজ্যে বর্তমানে শিল্প স্থাপনের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠেছে। এখন রাজ্যে বিনিয়োগের আদর্শ পরিবেশ রয়েছে। শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্তোষ ব্যক্ত করেন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ভারত ইতিমধ্যেই একটি ভব্য ও সফল G20 শীর্ষ সম্মেলন সম্পন্ন করে বিশ্বে নয়া কীর্তি স্থাপন করেছে। তাঁর বিচক্ষন মার্গদর্শনে বিগত এক দশকে উন্নয়ন ও বিকাশের নয়া মানদন্ড রচিত হয়েছে গোটা দেশে। তিনি প্রকৃত অর্থে আমাদের সকলের মার্গদর্শক। প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে দেশ ও রাজ্য বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলছে। রাজ্যের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত উন্নয়ন ও সর্বাঙ্গীণ বিকাশের সুফল পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা মেনে কাজ করবে রাজ্য সরকার।প্রসঙ্গত, বরাবরই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত উন্নয়নকে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময়েও সমাজের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত কিভাবে বিকাশ সাধন করা যায় সেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করেন। এমনিতেই প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ত্রিপুরা এখন সবদিক দিয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। বিশেষ করে সড়ক যোগাযোগ, রেল যোগাযোগ, বিমান যোগাযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবার উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। ত্রিপুরার প্রতি এই আন্তরিক মনোভাবের কারণে রাজ্যবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।