এই কার্য্যক্রমে ২০৩ পরিবারের প্রায় ৭০০ জন বিরোধী দলের ভোটারকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। পরে সভায় উপস্থিত কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি দেশের জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এখন এরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরার প্রতিটি প্রান্তে।
advertisement
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে জয় নিয়ে কোন সংশয় ছিল না। বক্সনগরে ৩০ হাজারের অধিক ভোট এবং ধনপুরে ১৮ হাজারের অধিক ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা। প্রত্যাশার চাইতেও অধিক মাত্রায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দিয়েছেন মানুষ। এর মধ্যে সংখ্যালঘু অংশের মানুষ যেমন ছিলেন ঠিক তেমনি ছিলেন জনজাতি অংশের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আগে বিধানসভায় আমাদের আসন ছিল ৩১ + ১। আর উপনির্বাচনে দুই আসন জয়ের পর এখন হয়েছে ৩৩ প্লাস ১, অর্থাৎ ৩৪টি আসন।
আরও পড়ুন– ১৬ হাজার কোটি টাকার হোটেলে রাত কাটান না কেউ ! কী এমন রহস্য, জানলে তাজ্জব লাগবে
মানুষ জনপ্রতিনিধিদের জয়ী করে বিধানসভায় পাঠায় তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে। জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব হচ্ছে নিজ নিজ বিধানসভা এলাকা এবং সারা রাজ্যের সমস্যা তুলে ধরা। সেই সঙ্গে জনস্বার্থে আইন প্রণয়ন করা। কিন্তু এই পবিত্র বিধানসভায় আমরা কী দেখেছি? একাংশ বিরোধী সদস্যের টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে হাঁটা, গঙ্গা জল ছিটানো, অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করা, মানদণ্ড নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা প্রত্যক্ষ হয়েছে। যেন সার্কাসের মতো অবস্থা। তাই সুস্থ পরিস্থিতি গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন ভারতীয় জনতা পার্টির। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বক্সনগর ও ধনপুরের উপনির্বাচনে কোথাও কোনও গণ্ডগোল বা হামলা হুজ্জুতির ঘটনা ঘটে নি। অথচ বিরোধী দল আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
যদিও বিরোধীরাও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক পরিবেশে সভা সমাবেশ, মিছিল মিটিং করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক পরিবেশে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কমিউনিস্টরা যেখানে শাসন করেছে সেখানে উশৃঙ্খলতার বীজ ছড়িয়েছে। ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল এর ব্যতিক্রম নয়। অথচ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে কী সুন্দরভাবে নির্বাচন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে সুস্থির পরিবেশ গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। এই সরকার বাস্তবিক অর্থেই স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সরকার।