তৃণমূল নেতাদের গণতন্ত্র কী এবং কীভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করা যায় সেটা বোঝার জন্য ত্রিপুরা ঘুরে যাওয়ার আহ্বান রাখেন ত্রিপুরার চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলীয় কর্মীদের ত্রিপুরার তৃণমূল সমর্থকদের কাছে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সহিংস পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করার আহ্বান রাখেন। যেখানে সহিংস রাজনীতির বলি হয়ে অন্তত ১৮ জনের প্রাণ গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষায় ট্রেনের লাইনে বিপদের আশঙ্কা? এবার স্বস্তি, সুরক্ষার জন্য বড় পদক্ষেপ রেলের!
মুখ্যমন্ত্রী ড. সাহা বলেন, ‘‘রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা সম্পর্কে তাদের অবহিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় অন্তত ১৮ জন লোক প্রাণ হারিয়েছিলেন। গণতন্ত্রের প্রকৃত মর্ম বোঝার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের ত্রিপুরায় আসা উচিত। কারণ আমরা গুন্ডামি না করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’’
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত! বাংলায় কতটা প্রভাব? কলকাতায় বাড়বে দুর্যোগ, আবহাওয়ার বড় আপডেট!
তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন বিজেপি দলের কর্মীদের খুনে জড়িত থাকার জন্য তৃণমূল কর্মীদের ভূমিকার নিন্দা করে বলেন, তৃণমূলের সহিংসতার ইতিহাস সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করা এবং এতে তাদের দলীয় কর্মীদের মানসিকতা প্রকট করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, ‘‘তৃণমূল কীভাবে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের এবং ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের টার্গেট করে সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে। কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যায় তা জানতে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের ত্রিপুরায় আসা উচিত। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় কোনও সহিংসতা বা গণ্ডগোল ছাড়াই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি উল্লেখযোগ্য নজির স্থাপন করেছে।’’ ত্রিপুরায় নির্বাচনের সময়কাল খুবই শান্তিপূর্ণ ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর পালটা অবশ্য মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় পুর ভোটের সময় যেভাবে ব্যাপক ইট বৃষ্টি হয়েছিল, সেই কথা কি ভুলে গেছেন নাকি? মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী সময়ে ব্যাপক অশান্তি! ত্রিপুরায় কী হয়েছে সেটা ওই রাজ্যের মানুষ জানে।’’