ঠিক কী কারণে মন্ত্রিসভার রদবদলের পরপরই বিপ্লব দেবকে ফের দিল্লি যেতে হল, তা নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ছে। যদিও প্রকাশ্যে বিজেপি বলছে, বিপ্লব দেবের এই বৈঠক পূর্ব নির্ধারিতই ছিল।
ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহল বলছে, সুদীপ রায় বর্মন যতই বিদ্রোহের ইঙ্গিত দিন না কেন, আপাতত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লব দেবের উপরেই আস্থা রাখছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব৷ একসময় মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ সুদীপ রায় বর্মন যে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন, তা বিজেপি নেতৃত্বের আর অজানা নয়৷ সোমবার দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝপথেই রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বেরিয়ে যান সুদীপ৷ তার পরেও তাঁর দাবি মানেনি দল।
advertisement
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় সুদীপ রায় বর্মনের জনপ্রিয়তা যথেষ্টই রয়েছে৷ তিনি যদি শেষ পর্যন্ত সত্যিই তৃণমূলে যোগ দেন, তাহলে তা বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সুদীপ যোগ দিলে তৃণমূল যে ত্রিপুরায় একধাক্কায় অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তা আড়ালে বলছেন বিজেপি নেতারাও। এত সত্ত্বেও সুদীপের চাপের কাছে নতিস্বীকার করতে রাজি হয়নি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব৷ ফলে এর পরেও সুদীপ বিজেপি-তে থাকবেন কি না, সেই প্রশ্নেই এখন সরগরম ত্রিপুরার রাজনীতি৷ এই পরিস্থিতিতে বিপ্লব দেবকে ফের দিল্লি ডেকে পাঠানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।