এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য দফতরের সচিব ডঃ দেবাশীষ বসু এবং অধিকর্তা ডাঃ শুভাশিস দেববর্মাকে সঙ্গে নিয়ে আই জি এম হাসপাতালের ওপিডির সব কটি বিভাগ পরিদর্শন করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে অবহিত হন। একই সাথে তিনি আইপিডি বিভাগ গুলো পর্যবেক্ষণ করেন।
advertisement
এদিনের পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বেশ কিছুটা সময় নেন হাসপাতালে জনঔষধি কেন্দ্রে। কর্তব্যরত ফার্মাসিস্টের কাছ থেকে মজুদ ঔষধের চার্ট চেয়ে নেন। পরে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, সাধারণ রোগীদের জন্য যে ঔষধ গুলো দরকার এই কাউন্টারে যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। চিকিৎসকও উল্লেখযোগ্যভাবে ওষুধে প্রেসক্রাইব করছেন। তা অত্যন্ত সদর্থক বলে মন্তব্য করেন তিনি । একই সাথে সকলের প্রতি আহ্বান রাখেন জন ঔষধের উপর আরো বেশি করে আস্থা রাখার জন্য।
মানিক বলেন বর্তমান সময়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আপৎকালীন রোগীদের সেবায় ৭টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। একই সাথে ১০২ তে কল করে সহজেই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিতে পারছেন সাধারণ রোগীরা। তবে হাসপাতালের পুরনো ভবনটিতে কিছুটা সমস্যা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পাশাপাশি আরও যে কয়েকটি বিষয়ে ত্রুটি বিচ্যুতি চোখে পড়েছে তা ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব এবং অধিকর্তার নজরে নেয়া হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে কর্মরত বেসরকারি সংস্থার সিকিওরিটি গার্ড দের সঙ্গে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মাঝেমধ্যে ঝামেলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া চাইলে তিনি বলেন, সিকিউরিটি গার্ডরাও মানুষ। যারা চিকিৎসা সেবা নিতে এই হাসপাতালে আসেন তারা মুমূর্ষু এই ভাবনাটা সবার মধ্যে থাকতে হবে। এই বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে যখন খবর হয়, তখন তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গোচরে রাখেন বলে জানান। তাই একে অপরের সাথে ভালো ব্যবহার জরুরি বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সাংবাদিকদের আইনশৃঙ্খলা জনিত একটি প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন আর কেউ গুন্ডামি করে রাজ করতে পারবেনা । অপরাধী কাউকেই বরদাস্ত করা হবে না।