“ত্রিপুরায় হাজার হাজার মানুষকে ব্যর্থ করা মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায়! যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এতটাই বেশি ক্ষতি যে বিজেপির শীর্ষ কর্তারাও মুখ্যমন্ত্রীর অক্ষমতায় বিরক্ত। বিজেপি খুবই বিচলিত বলে মনে হচ্ছে! পরিবর্তন অনিবার্য,” ট্যুইটে লিখেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ঘন ঘন সফর করছেন। বিজেপি অবশ্য ত্রিপুরার বিষয়ে তৃণমূলকে ‘নন ফ্যাক্টর’ বলেই অভিহিত করেছে।
দুই যুযুধান দলই ত্রিপুরার ভোটারদের মন ও ভোট দুই জিততে মরিয়া। প্রায়ই দুই দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হিংসার ঘটনা তারই প্রমাণ।
শনিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জানান, তিনি রাজ্যপাল এসএন আর্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরই এই ঘোষণা করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। “দল চায় আমি সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করি,” সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন বিপ্লব দেব। সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য শাখার মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যের আসার পরই পদত্যাগ করলেন বিপ্লব দেব।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদেকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা দু’জনই আগরতলায় পৌঁছেছেন। বিজেপি আজই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভূপেন্দ্র এবং বিনোদ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্য বিজেপির ইনচার্জ বিনোদ সোনকর। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব ভার্মা এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডঃ মানিক সাহা৷