বৃহস্পতিবার বিএল সন্তোষ মা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন। একটি সাংগঠনিক কমিটির মিটিং ডাকেন তিনি। তারপর ধাপে ধাপে বিজেপির মন্ত্রী এবং বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন। বিএল সন্তোষের আলাদা করে কথা হয় আইটি সেল এর সঙ্গেও। সূত্রের খবর, অজয় জামওয়াল দুদিন ধরে যে ভাবে পরিস্থিতি দেখলেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন তাই নিয়ে। তারপরেই ঠিক হবে কী ভাবে ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রশমিত করা যায়।
advertisement
যদিও রাজ্য (ত্রিপুরা) বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নেতাদের মধ্যে আর কোনো ক্ষোভ নেই। সর্বভারতীয় সভাপতির ডাকা মিটিংয়ে সকলের সাড়া দিয়েছেন। দলীয় মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তীর কথায়, আমরা সবাই একটি পরিবারের অংশ একটা বড় পরিবারে মতপার্থক্য থাকবেই কিন্তু আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যাগুলো মিটিয়ে ফেলা গিয়েছে।
সূত্রের খবর বিএল সন্তোষ এই দুদিনের সফরে দলের প্রতিনিধিদের বুঝিয়েছেন, কী ভাবে সরকার পরিচালনায় দল ভূমিকা নিতে পারে। তাঁর যুক্তি বিজেপি ত্রিপুরায় যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। পাশাপাশি কী ভাবে আরও একজোট হয়ে কাজ করা যায় সে ব্যাপারেও উপদেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি চান আগামী দিনে সংগঠন পরিচালনা ভুলের পরিমাণ কমুক।
শোনা যাচ্ছে, পার্বত্য় এডিসি নির্বাচনে দলের সংগঠন আদৌ দুর্বল হয়নি বলেই মত বিজেপি রাজ্য নেতাদের। সূত্রের খবর, বৈঠকেই স্থির হয়েছে, নানা মহল থেকে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি নিয়ে বিষয়ে নানা ধরনের কথা উঠলেও রাজ্য নেতারা বলছেন গণতন্ত্র রক্ষা করার স্বার্থে তারা কোন মত দেবেন না।