আজ আগরতলা শহরের মহারানী তুলসীবতী উচ্চতর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সংস্কারপন্থী বিধায়ক ও বিভিন্ন বিধানসভার নেতৃত্বরা আলোচনায় বসেন, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এ দিন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে স্পষ্ট বলেন, দল এবং সরকারের মধ্যে কী ভাবে সংশোধনী আনা যায়, তা নিয়েই এই আলোচনা। অন রেকর্ড আমরা বলছি, দল এবং সরকার কর্মীদের কথা শুনতে চাইছে না। উল্লেখ্য, সুদীপ রাখঢাক না রেখেই বলছেন, দলের নীচুতলার লোক ক্ষোভ পুষে রেখেছে।
advertisement
উল্লেখ্য তৃণমূল রাজ্যে পা রাখতে না রাখতেই রীতিমতো তাণ্ডব চলছে ত্রিপুরায়। সুদীপ রায়বর্মন প্রকাশ্যেই এই নিয়ে বললেন, যেন হামলা হুজ্জতি বন্ধ হয়।
সুদীপদের এই বৈঠক রাজনৈতিক মহলের নজর কাড়ছে কারণ রাত পোহালেই অন্তত চার দিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে ত্রিপুরায় আসছেন রাজধানীর তিন হেভিওয়েট নেতা। এই দলে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ সোনকার, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক সাংগঠনিক অজয় জামওয়াল ও অসম ত্রিপুরার বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি ফণীন্দ্রনাথ শর্মা। তাদের সঙ্গেই ত্রিপুরায় আসবেন মন্ত্রী প্রতিমা বর্মন। একদিকে যেমন তৃণমূলকে রোখার সাংগঠনিক কর্মসূচি ঠিক করবেন নেতারা, তেমনই মন্ত্রিসভায় রদবদলটাও এই সময় হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। একটি অসমর্থিত সূত্রের খবর ৩১ অগাস্ট ত্রিপুরা বিধানসভায় চারটি শূন্যপদ পূরণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিজেপি থেকে তিনজন বিধায়ক নতুন করে মন্ত্রিত্ব পাবেন। আইপিএফটি থেকে বেছে নেওয়া হবে একজনকে। এই চারজনের মধ্যেই কি সুদীপ রায়বর্মন এবং তাঁর শিবিরের অন্যান্যরা থাকবেন? এভাবে পুরস্কৃত করে একই দলের ভাঙ্গনরোধে বিজেপি, প্রশ্ন এই নিয়েই। এই জল্পনা আরও বেশি উস্কে দিচ্ছেন সুদীপ রায় বর্মনরা।
রাজনীতিপ্রিয় মানুষ মাত্রই মনে থাকবে কিছুদিন আগেই বিএল সন্তোষ অজয় জামওয়ালরা ত্রিপুরা ঘুরে গিয়েছিলেন। ছোট ছোট দল করে তিনি যখন বৈঠক করেন ত্রিপুরার বিধায়কদের সঙ্গে। তখন বিপ্লব দেব বিরোধীরা স্পষ্টই নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছিলেন। সেই রিপোর্ট নিয়ে দিল্লি ফেরেন বিএল সন্তোষ। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে, ভাঙন রুখতেই কি এবার ব্যবস্থা নিচ্ছে গেরুয়া শিবির? গোটা দেশের নজর কাড়ছে ত্রিপুরা।
