প্রসঙ্গত, সুদীপ রায় বর্মণের(Sudip Roy Burman) সাথে বিপ্লব দেবের(Biplab Deb) সম্পর্ক সুবিদিত। বিশেষ করে, সুদীপ রায় বর্মণ ক্যাবিনেট থেকে সরে যাওয়ার পরে দূরত্ব আরও বেড়েছে বিপ্লব দেবের সাথে। আর সেটাকেই এবার রাজনৈতিক লড়াইয়ে তুলে আনতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তৃণমূলের এই বক্তব্য মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, ''তৃণমূলের সাংগঠনিক কোনও শক্তি নেই এখানে। ওরা বলছে জয়ী হবে এখানে। দীর্ঘ দিন ধরে অনেকেই এসেছেন এখানে। গিমিক দিয়েছেন অনেক বার। গণতান্ত্রিক দেশ, ফলে তাঁদের কথা শুনতে হবে। এটা অনেকটাই ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো।"
advertisement
বিজেপির বিধায়ক আরও বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক দিন ধরেই সুদীপ রায় বর্মণকে নিয়ে নানা চর্চা শুনছি। সুদীপ বাবুর কথাও শুনেছি। তবে উনি এমন কাজ করবেন না যাতে সিপিএম লাভবান হবে। কুণাল ঘোষ অনেক কিছুই দাবি করছেন। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি কেউ বিজেপি থেকে যাবে না। এটা একটা গটআপ গেম। তৃণমূল কংগ্রেস যতটা সিরিয়াস দেখাচ্ছেন। আসলে উনি তা নয়। আমাদের রাজ্যে, আমাদের দল, বিপ্লব দেবকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে। বিজেপির কোনও নেতাই চায় না টিএমসি ভোট কেটে সিপিএম কে আনবে আবার ত্রিপুরায়।"
পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ আবার বলতে শুরু করেছেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের চাপ সামলাতে সেপ্টেম্বর মাসে ত্রিপুরায় আসবেন জে পি নাড্ডা। তৃণমূলকে মেরে ঠেকাতে পারবেন? আগে ঘর সামলান। তাসের ঘরের মত ভাঙবে। তাই এত ভয়।" দুই দলের রাজনৈতিক লড়াইয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার পরিস্থিতি। তৃণমূল অবশ্য বলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।