বিজেপি শিবিরের কথায়, এর আগে ত্রিপুরার চা-এর কোনও নাম ছিল না। বর্তমানের বিজেপি সরকার আসার পরেই ত্রিপুরার চা-এর নামকরণ হয়েছে, তৈরি হয়েছে ত্রিপুরার চায়ের বিশেষ লোগো। বিজেপির দাবি, আগে যেখানে প্রতি কেজি ১৩০-১৩৫ টাকায় চা বিক্রি হতো, বর্তমানে ২২৫ টাকা করে সরকারি চা বিক্রি হচ্ছে কলকাতার বাজারে। পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের মতই চা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ত্রিপুরায়। চা ব্যবসার উন্নয়নে ত্রিপুরায় একটি চা নিলাম কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
advertisement
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন, “আমরা এই রাজ্যেই একটি চা নিলাম কেন্দ্র করতে চাইছি। এটা হলে এখানেই চা বিক্রি করতে পারবেন উৎপাদকরা। চা উৎপাদকদের পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে।” ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বছরে ৯ থেকে ১০ লক্ষ কেজি চা উৎপাদিত হয়। এটা দেশে মোট চা উৎপাদনের প্রায় ১০ শতাংশ। চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা, দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে আছে বলেও জানান তিনি।
মানিক সাহা বলেন, “আমাদের রাজ্যে যে পরিমাণ চা উৎপাদন করা হয় এবং আমাদের যে পরিসংখ্যান তাতে এখানে একটি নিলাম কেন্দ্র করা যায়। এই কেন্দ্র করার জন্য আমরা আলোচনা শুরু করে দিয়েছি। ত্রিপুরার যে ভৌগোলিক অবস্থান তাতে এখানে চায়ের উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়। ”
এখন Tripura Tea Development Corporation (TTDC)-র অধীনে ৫৪টি চা বাগান আছে। ত্রিপুরায় তিনটি চা কারখানা আছে। সেখানে যে চা-বাগান আছে তাঁর মধ্যে ১২টি চালায় কো-অপারেটিভ সোসাইটি। বাকি চা বাগানগুলি ব্যক্তি মালিকানাধীন। এখন ত্রিপুরায় ২২টি চা প্রসেসিং ইউনিট আছে বলে জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরায় উৎপাদিত চা বাংলাদেশেও রফতানি করার বিষয়ে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন, হঠাৎ ঢুকে পড়লেন 'রাধা-গোবিন্দ' মিষ্টির দোকানে! তারপর...? ত্রিপুরায় জনসংযোগে মমতা
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগে যে চায়ের দাম কেজি প্রতি ১৪৭ টাকা ছিল, এখন সেটাই বেড়ে হয়েছে ২৭৪ টাকা। এটাই বোঝাচ্ছে যে, আমাদের রাজ্যের চায়ের মান আরও ভাল হচ্ছে। এই কারণে এখানে একটি নিলাম কেন্দ্র করার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।” তাঁর দাবি, ভোট বাক্সের দিকে চেয়ে নয়, চা শ্রমিক এবং ক্ষুদ্র চা বাগানের উন্নতিতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
অন্যদিকে, মানিক সরকারের দাবি, "আমাদের সময়েই ত্রিপুরার চায়ের পরিচিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমরা শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের জন্য যে কাজ শুরু করেছিলাম তাতে শ্রমিকরা খুশি ছিল। এখন সমস্যা সমাধান এই সরকার করছে না। আমরা শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের পাশেই আছি।"