এবারের ত্রিপুরা নির্বাচেনে গেম চেঞ্জিং ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে জনজাতির ভোট। ইতিমধ্যেই যার অধিকাংশই সমর্থন করছে ত্রিপুরার রাজা প্রদ্যোৎ মানিক্যের তিপ্রামোথাকে। এদিনের জনসভা জন্য তাই বিজেপি বেছে নিয়েছিল জনজাতি অধ্যুষিত এলাকা। সেখানকার সভামঞ্চ থেকেই তিপ্রামোথার বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাম, কংগ্রেস এবং তিপ্রামোথাকে একই বন্ধনীতে এনে সরাসরি বললেন, "বাম কংগ্রেসের সর্বজনীন জোট, কিন্তু তিপ্রামথার টেবিলের নীচের জোট। তিপ্রামোথা ও কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে কমিউনিস্টদেরকে ভোট দেওয়া।"
advertisement
আরও পড়ুন: ত্রিপুরেশ্বরী 'রাজনীতি' অব্যাহত ভোটমুখী ত্রিপুরায়, এবার পুজো দিলেন শাহ
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে পাশে নিয়ে এদিন করোনাকালে ত্রিপুরার মানুষকে দেওয়া ভ্যাকসিনকে হাতিয়ার করলেন অমিত শাহ। জনজাতি ভোটারদের মন পেতে হাতিয়ার করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূকে। তিনি বলেন, "নরেন্দ্র মোদী একমাত্র ব্যক্তি যিনি, একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করেছেন।" পাশাপশি, আইপিএফটি নেতা প্রয়াত এন সি দেববর্মার পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি। জনজাতি মানুষদের জন্য মোদি সরকার যে যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছে এদিন তার খতিয়ান তুলে ধরেন শাহ।
তবে প্রধানমন্ত্রীর মতোই, শাহের মুখেও উঠে আসেনি তৃণমূলের নাম। তাঁর আক্রমণের পুরোটাই সিপিএম এবং কংগ্রেসকে। বলেন, "ত্রিপুরার উন্নয়ন বামেরা করতে পারবেন না। ত্রিপুরার উন্নয়ন কংগ্রেসও করতে পারবে না। তিপ্রামোথা কিছুই করতে পারবে না।"
আরও পড়ুন: দলীয় কর্মীর বাড়িতে শাহি-'লাঞ্চ', মেনুতে ছিল জিভে জল আনা মণিপুরী খাবার
শাহের কটাক্ষ, "বামেরা এতদিন কী করেছে? মানিক সরকার এতদিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, কী করেছেন? এবার ওঁর দল ওঁকেই প্রার্থীই করল না। আর এখন আদিবাসী মুখকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নাম ঘোষণা করে দিচ্ছে। চা বাগান আর রাবার শ্রমিকরা জেনে রাখুন আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর কাজ আমরাই করব।"
শাহের দাবি, ত্রিপুরার কথা যদি কেউ ভাবেন, তাঁর নাম নরেন্দ্র মোদি। ভবিষ্যতে ত্রিপুরার উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, ত্রিপুরার সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ করতে একটি বিমানবন্দর তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। তাছাড়া, বাড়ানো হচ্ছে সড়কের সংখ্যাও।