ঘটনা যেটা জানা যাচ্ছে, ধর্মনগরের জেল রোডে বিশ্বজিৎ মালাকার বলে একজনের বাড়িতে গিয়েছিলেন বর্ণালী গোস্বামী ৷ সেখানেই তাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বেশ কয়েকজন ৷ অভিযোগ যে বা যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তারা প্রত্যেকেই বিজেপির যুব কর্মী। অভিযোগ প্রার্থীর বিপক্ষ শিবিরের কয়েকজন এই বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। আক্রান্ত হন বর্ণালী গোস্বামী। রীতিমতো টানা হ্যাঁচড়া করা হয় তাঁকে। অভিযোগ পুলিশকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি ৷ অনেক পরে পুলিশ আসে, উদ্ধার করে নিয়ে যায় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামীকে ৷
advertisement
আরও পড়ুন- উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের একাধিক কোচে আধুনিকীকরণ করা হল অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা
গোটা বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, বর্ণালী দেবীর বাবা দীর্ঘ দিনের বিজেপি নেতা রসিক রঞ্জন গোস্বামী, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘৩২ বছর বিজেপির সেবা করার উপহার আজ পেয়ে গেলাম। আমার মেয়ে বর্ণালী গোস্বামী ছাত্র জীবন থেকেই আমাকে অনুসরণ করে এবিভিপি স্বয়ং সেবিকা এবং পরবর্তী সময়ে বিজেপিরই সেবা করেছে। বর্তমানে সে মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে আছে। আজ প্রায় দুপুর ১টা-র সময় কমিশনের দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে জেল রোডের বিশ্বজিৎ মালাকারের বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে বিজেপির অতি উৎসাহী নব্য কর্মীদের দ্বারা ঘেরাও হয় এবং আক্রান্ত হয়ে আহত হয়, সঙ্গে ওর বড় বোন ও কিছুটা আঘাত পায়। থানার অফিসার ইনচার্জকে বারবার ফোন করেও নো রিপ্লাই হয়।
আরও পড়ুন- কমার্শিয়াল উড়ানের নতুন ইতিহাস- ২৫০ এয়ারবাস আর ২২০ বোয়িং কিনে রেকর্ড গড়ছে এয়ার ইন্ডিয়া !
শেষ পর্যন্ত পুলিশের সেক্টর ইনচার্জ মিস্টার দাস-কে পেয়ে তাকে বলায়, তিনি সঙ্গে সঙ্গে অকুস্থলে উপস্থিত হয়ে অবস্থার সামাল দেন। ধর্মনগরের জনগণ জানেন কীভাবে পরিশ্রম ও নিজের অর্থ খরচ করে মানুষকে বিজেপির সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলাম। আজ তার জন্য যে উপহার পেলাম এর বিচারের ভার ধর্মনগরের মানুষের কাছেই অর্পণ করলাম।’’
গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপির শীর্ষ নেতারাও। তবে গোটা ঘটনায় তাদের যোগ নেই বলেই মন্তব্য করেছে বিজেপি শিবির।
আবীর ঘোষাল