জোটে নয়, একক দক্ষতাতেই ত্রিপুরায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে চলেছে তিপ্রামোথা। তিপ্রামোথার তরফে রাজ্যের ৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিপ্রামোথাকে কাছে পেতে আগ্রহী ছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কাছে পেতে আগ্রহী ছিল শাসক দল বিজেপিও। যদিও বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ডের লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত যে তারা জোটে যাবে না সে বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে। তাই তিপ্রামোথার প্রধান মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য জানিয়েছেন, ‘‘নিজের দক্ষতাতেই তিপ্রামোথা বিধানসভা ভোটে লড়াই করবে। আমরা কারও সঙ্গে সমঝোতা করছি না। জনজাতি মানুষের স্বার্থে আমরা মানুষের সাথে কোনও সমঝোতায় আমরা যাব না।’’ তিপ্রামথার অপেক্ষায় বসে না থেকে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতা পাকা করে ফেলেছে বাম-কংগ্রেস। উভয়েই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে।
advertisement
অন্যদিকে, ভোটের আগেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে ত্রিপুরার জনজাতি দলটির নেতাদের বৈঠকে সমঝোতা চূড়ান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত তিপ্রা ইন্ডিজেনাস প্রোগ্রেসিভ রিজিয়নাল অ্যালায়েন্স নেতৃত্বে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের ‘লিখিত প্রতিশ্রুতি’র দাবিতে অনড় তিপ্রা নেতারা। দলের প্রধান তথা জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের বুবাগ্রা প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য দেব বর্মন বলেছেন, ‘‘এখনও আমরা কোনও জোটে নেই। জনজাতি সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড প্রতিষ্ঠাই আমাদের এক মাত্র লক্ষ্য।’’
ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০টি জনজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত। ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে এর মধ্যে ১০টিতে বিজেপি এবং ৮টিতে তার সহযোদী দল আইপিএফটি জয়ী হয়েছিল। সিপিআইএম জিতেছিল দু’টিতে। গত কয়েক মাসে আইপিএফটির নেতা-কর্মীদের অধিকাংশই তিপ্রায় যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে জনজাতি এলাকায় বাম-কংগ্রেস জোটকে ঠেকাতে তিপ্রাকে পাশে পেতে সক্রিয় হয়েছিল বিজেপি।উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের মোট ৩৬ লক্ষ ৭৪ হাজার নাগরিকের মধ্যে বাঙালি ২৪ লক্ষ ১৪ হাজার। অন্য দিকে, জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ ৮ লক্ষ ৮৭ হাজার।আগেই প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটিকে জানিয়ে দিয়েছিল, তারা যেন তাদের সাথে মিশে যায়।