উজ্জয়ন্ত প্যালেস। এটাই তিপ্রামোথার মাথা ত্রিপুরারাজ প্রদ্যোৎ কিশোর মাণিক্যের ঠিকানা। এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ রাজবাড়ির মন্দিরে নেমে আসেন প্রদ্যোত৷ সেখানে তাঁদের কুলদেবতাকে পুজো দেন। তারপরে যান ভোট দিতে। ভোট দিতে যাওয়ার সময় তাঁর পরনে ছিল নীল পাঞ্জাবি। চোখে কালো রোদ চশমা। ভোটের সকালে হাল্কা মেজাজেই দেখা গেল ত্রিপুরারাজকে।
আরও পড়ুন: বিজেপি-ও 'ভয়' পায় এই 'রাজা'কে! রইল ত্রিপুরার 'কিং'-এর 'কিং মেকার' হয়ে ওঠার কাহিনি
advertisement
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রদ্যোৎ কিশোর অবশ্য অভিযোগ করেন, এদিন বেশ কিছু বিধানসভা কেন্দ্রেই সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। নলছড়, ধনপুর,মোহনপুর, খয়েরপুর,কাঁকড়াবন--এমন সব এলাকা থেকে সকাল থেকেই হিংসার খবর তাঁর কাছে পৌঁছেছে বলে জানান তিনি। একাধিক জায়াগায় ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
এদিনও বিজেপি-কে ফের চ্যালেঞ্জ করতে দেখা যায় প্রদ্যোত কিশোরকে। এদিন ভোট দিয়ে বেরিয়েও জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা যায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার গলায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যকেই এদিন কটাক্ষ করেন প্রদ্যোৎ। বলেন, "ওঁকে তো নিজেকে আত্মবিশ্বাসী দেখাতেই হবে। ওঁর কোনও উপায় নেই। কোন মুখ্যমন্ত্রী বলবেন বলুন যে, তিনি আত্মবিশ্বাসী নন।"
আরও পড়ুন: বিজেপি-র প্রত্যাবর্তন নাকি ফের পালাবদল? কড়া নিরাপত্তায় ত্রিপুরায় শুরু ভোটগ্রহণ
এদিন সকালে ত্রিপুরার মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে চেয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটের জবাবে প্রদ্যোৎ কিশোর মাণিক্য বলেন, "ওঁকে ত্রিপুরা নিয়ে ট্যুইট করতে হবে না। ত্রিপুরার মানুষ বরাবর ভোট দেন৷ পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মানুষ ভোট নিয়ে ভীষণ সচেতন।"
সবশেষে তিপ্রামোথা প্রধানের জবাব, "পার্বত্য এলাকায় মানুষ ভালই ভোট দিচ্ছেন। আমরা অনেক খেটেছি। তার ফল আমরা পাবই। ত্রিপুরা বিজেপির জন্য বড় ঝটকা অপেক্ষা করছে।"
