প্রধান মন্দিরটি ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির মুঘল শাসনেরও পূর্বে ত্রিপুরার মহারাজা ধন্য মাণিক্য কর্তৃক নির্মিত তিনটি স্তরীয় ছাদ-সহ একটি ঘনক্ষেত্রের ভবন, যা বাংলার এক-রত্ন শৈলীতে নির্মিত। প্রতি বছর দীপাবলী উপলক্ষে একটি বিখ্যাত মেলা মন্দিরের কাছাকাছি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়, যা প্রায় লাখ লাখ তীর্থযাত্রীরা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসানো, সংখ্যালঘুদের মন পেতে এখন মরিয়া বঙ্গ বিজেপি
advertisement
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মন্দিরের পূর্বদিকে ৬.৪ একর জমি জুড়ে এই কল্যান সাগর অবস্থিত। সাগরের জলে বিভিন্ন জলজ প্রাণী, মাছ এবং কচ্ছপ রয়েছে। পুণ্যার্থীরা পুণ্যার্জন করার জন্য এখানে এসে এই সমস্ত জলজ প্রাণীদেরকে বিস্কুট, মুড়ি খাওয়ান। প্রতিবছর দীপাবলি উপলক্ষ্যে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে এক সুবিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। যদিও হিন্দুদের অন্যতম এই পীঠস্থানের উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ। ভোট প্রচারে সেই ইস্যুকে বারবার ধরে ব্যবহার করছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যদিও বাম-বিজেপি একে ওপরের উপরে পারস্পরিক অভিযোগ তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। মন্দির চত্বরে গিয়ে দেখা গেল চারিদিকে নানা নির্মাণের কাজ চলছে। বহু দোকান অন্যত্র সরানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- দোল পূর্ণিমার দিন ৪ রাশির জাতক-জাতিকাদের ভাগ্যের নক্ষত্র জ্বলে উঠতে চলেছে! কিন্তু কীভাবে?
দোকানদারদের বক্তব্য, স্থান পরিবর্তন করার জন্য অনেকটাই বিক্রি কমেছে তাদের ৷ একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ আরও দ্রুত কাজ হলে ভালো হত। ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে এসে মাতা ত্রিপুরেশ্বরীর আশীর্বাদ নিয়ে গিয়েছেন জে পি নাড্ডা-অমিত শাহ-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় -অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শনিবার আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, ‘‘ত্রিপুরেশ্বরী বিখ্যাত একটা মন্দির। বহু মানুষ এখানে আসেন। তা সত্ত্বেও মন্দির সাজানো হয়নি। মন্দির ঘিরে কোনও উন্নয়ন হয়নি ৷’’ বিজেপি নেতাদের তোপ দেগে তিনি বলেছিলেন, ‘‘যান গিয়ে দেখে আসুন পশ্চিমবঙ্গের কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর।’’ বিজেপি অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, দ্রুত কাজ হচ্ছে। কোভিডের জন্য কাজ শুরু হতে দেরি হয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক মানের তৈরি হচ্ছে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির।