রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে একটি অংশ বিশেষভাবে সক্রিয়। সেই গোষ্ঠীতে রয়েছেন অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উদ্ধব ঠাকরের মতো নেতারা। মূলত, কংগ্রেসের সঙ্গে টানাপোড়েনই এই নেতাদের একসাথে আসা। কংগ্রেসের ‘জমিদারি’ মেজাজ নিয়েও সুর চড়িয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর সেই আওয়াজ আরও জোরাল হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকের প্রশ্ন হচ্ছে, তৃণমূলকে আসন ছাড়ার বিনিময়ে কী পাবে অখিলেশের দল? আপাতত এসপির বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবশত এই সিদ্ধান্ত।
advertisement
সমাজবাদী পার্টির এক নেতা বলেন, “উত্তর প্রদেশে গত বিধানসভা নির্বাচনে ৪০০টি আসনে কংগ্রেস লড়ে মাত্র ২টি পেয়েছিল। বহু আসনে তাদের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। অমেঠী এবং রায়বরেলীতে কংগ্রেসের তুলনায় এসপি-র শক্তি অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও ঐতিহ্য মেনে এই দু’টি আসন সনিয়া এবং রাহুল গান্ধিকে ছেড়ে থাকে এসপি।” প্রসঙ্গত এবার রায়বেরেলী থেকে লড়বেন না সনিয়া গান্ধি। অযোধ্যার রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যেই হিন্দুত্বের প্রচারে নেমে পড়তে চাইছে বিজেপি। লোকসভার প্রচারে কোন অস্ত্রে তার মোকাবিলা করবে দল? এসপি সূত্রে বলা হচ্ছে, জাতভিত্তিক জনগণনা, গণনার ভিত্তিতে জনসংখ্যা অনুযায়ী ওবিসি-দের ভাগীদারি, কিছু কর্পোরেটের হাতে দেশের অর্থব্যবস্থাকে তুলে দেওয়া, কৃষকের দুরবস্থা, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো সাধারণ মানুষের সমস্যার বিষয়গুলিকে আনা হবে প্রচারে। গত পাঁচ বছরে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অনুন্নয়নের অভিযোগকেও সামনে আনা হবে।