কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, "কেন্দ্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মডেলকে অনুসরণ করছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা নীতিতে যে কথা বলা রয়েছে, তা মানছে না কেন্দ্রীয় সরকার। এই নতুন প্রকল্পে গরিব মানুষ ও কোটি কোটি রেশন গ্রাহকেরা বঞ্চিত হবেন। কেন্দ্রকে বারবার বলা সত্ত্বেও, তারা নিম্নমানের ২-৩ টাকা কেজির চাল দেয়। আমরা তা নিইনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা বাইরে থেকে ভাল চাল কিনে দিই।"
advertisement
অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, "এটা কেন্দ্রের আর এক ধরনের জালিয়াতি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে উচ্চমানের খাদ্যসামগ্রী রেশনে বণ্টন করা হয়। গরিবরা যা বিনাপয়সায় পান। এটাই দেশের মডেল। কিন্তু এই নতুন প্রকল্পে নাম বদল করে ঠকানোর পথ তৈরি করেছে কেন্দ্র। দেশে এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত এক ডজন প্রকল্প চলছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এইসব প্রকল্পে রাজ্যকেও টাকা দিতে হয়। তাহলে প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রীর নামও যুক্ত করতে হয়। কিছু প্রকল্প রয়েছে মহাত্মা গান্ধি, ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধির নামে। এঁরা সকলে শহিদ হয়েছেন। সুতরাং, এইভাবে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত— এটা কেন হবে?"
আরও পড়ুন: সহযোগিতা করবে বর্ধমান মেডিক্যাল, রেণু খাতুনের হাত প্রতিস্থাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দ জেলা পরিষদের
তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য, "এটা কেন্দ্রের রেশন জালিয়াতি। এমন ভাব দেখাচ্ছেন যেন বিনামূল্যে দিচ্ছে। একাই৷ হাততালি কোড়ানোর চেষ্টা৷ সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করছে।" তৃণমূল নেতার কথায়, "যেটা নতুন শুরু হচ্ছে, সেটা রেশন জালিয়াতি। মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন৷ ভর্তুকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে করে দেখিয়েছেন। মডেল টুকলি করা হয়েছে৷ মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছে। এটা নিয়ে আমাদের লাগাতার প্রচার শুরু হবে৷ মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছে এই ইস্যুতে প্রচার হবে। বিনামূল্যে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থিম। আমরা নিশ্চিত ভাবে মানুষের কাছে যাব। এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো। আর আগের প্রকল্প থেকে সরে আসা। এই জালিয়াতি প্রচারে আমরা তুলে ধরব।"